১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
পটুয়াখালীতে কন্যার দায় এড়াতে লাখ টাকায় নবজাতক বিক্রি করলেন বাবা

পটুয়াখালীতে কন্যার দায় এড়াতে লাখ টাকায় নবজাতক বিক্রি করলেন বাবা

আজকের ক্রাইম ডেক্স: কন্যাসন্তান হওয়ায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। তিন কন্যার পর চতুর্থবার কন্যাসন্তান হওয়ায় চার কন্যার দায় এড়াতে নবজাতককে বিক্রি করেছেন বাবা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নবজাতকের বাবা এবং এ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স লাইজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নিজাবাদ গোপালদী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. হানিফ মৃধার স্ত্রী মোসা. শাহনাজ বেগম পটুয়াখালী এ্যাপোলো হাসপাতালে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

জানা গেছে, এর আগেও শাহনাজ বেগমের তিন কন্যা হয়েছে। এবারও কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তাই চতুর্থ কন্যাসন্তানের দায় এড়াতে এবং আর্থিক লাভবান হতে হানিফ এ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স মোসা. লাইজু বেগমের সঙ্গে যুক্তি করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন।

শিশুটির মা মোসা. শাহনাজ বেগম জানান, বারবার নার্স লাইজু বেগমের কাছে আমার সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান, বাচ্চা অসুস্থ চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমার স্বামীসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিচার চাই।

লাইজু বেগম (নার্স) বলেন, পরপর চারজন মেয়েসন্তান হওয়ার কারণেই হানিফ মৃধা তার মেয়েকে বিক্রি করেছেন। পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম জানান, শাহনাজ বেগমের অভিযোগ এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী ব্রিজের ওপর থেকে বাচ্চা পাচারের সময় লাইজু বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019