২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে প্রার্থীর নাম ঘোষণা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম দফায় ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
তবে সেই তালিকা থেকে আবারও বাদ পড়েছে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন। ফলে এ আসনে কে হচ্ছেন বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী—তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক জটিলতা ও অনিশ্চয়তা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-৩ আসনে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব ও কোরাম সংকট বিরাজ করছে। ফলে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপির কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই নির্বাচনের পর থেকে এ আসনে বিএনপির নেতৃত্বে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান এবং ও কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নুল আবেদীন দুইজন হেভি ওয়েট প্রার্থী মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না আসায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
একজন স্থানীয় নেতা বলেন, বরিশাল-৩ আসন বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি ছিল। কিন্তু নেতৃত্বের বিভক্তি আর দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। দল যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে মাঠ পর্যায়ের সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও বরিশাল বিভাগীয় কয়েকটি আসন নিয়ে আলোচনা হলেও বরিশাল-৩ আসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যত দেরি করছে প্রার্থী ঘোষণায়, ততই মাঠ পর্যায়ে দলটি পিছিয়ে পড়ছে। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত কে পাবেন দলের মনোনয়ন—সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা রয়ে গেছে।