০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি, মঙ্গলবার, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বকুলতলা আল-কারীম ক্বিরাআতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একাধিক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল রহমান বর্তমানে গা-ঢাকিয়ে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে থাকা কয়েকজন ছাত্র দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকারের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগকারীদের বক্তব্য — অভিযুক্ত শিক্ষক ভয়ভীতি দেখিয়ে কাউকে কিছু বলার জন্য নিষেধ করতেন। ঘটনা প্রথমবার ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসে এবং দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত থানায় আনুষ্ঠানিক কোনো মামলা দায়ের হয়নি; তবে অভিভাবক ও এলাকার মানুষ দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাদ্রাসাটি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন। প্রশাসন জানায় — অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদ্রাসার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। মাদ্রাসার মোহতামিম নুরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি আমার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলাম। এর আগেও এখানে এমন ঘটনা ঘটেছিল; সঠিক বিচার না পেয়ে সন্তানকে অন্যত্র নিয়ে গেছি।” স্থানীয়দের দাবি পূর্বেও অনুরূপ অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে; তাই এবার অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মাদ্রাসায় গিয়ে কাউকে না পাওয়ার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।