২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হুসাইন মোহাম্মদ (রুবেল) বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
“নদী বাঁচাতে নদীতে আসুন”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে নদীর সাথে জন জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে ব্যতিক্রমী গণ-গোসল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে ।
২৭ সেপ্টেম্নর (শনিবার) নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ” ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদীর ভাদুঘর বাজার ঘাটে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গণ গোসল কর্মসূচি উদ্বোধক করেন, প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ), রঞ্জন চন্দ্র দে। তিনি বলেন, নদী এখন অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে আর এই দূষণের দায় ব্যক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে। নদী সুরক্ষায় সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। নদী দূষণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করার জন্য তরী বাংলাদেশ এর এই ব্যক্তিক্রমধর্মী আয়োজন প্রশংসনীয়। তরী বাংলাদেশের প্রতি শুভ কামনা।
নদী শুধু জলধারা নয়, এটি এক সভ্যতার ভিত্তি। তরী বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা মনে করেন, নদীকে রক্ষা করতে হলে তার সঙ্গে মানুষের বন্ধন পুনঃস্থাপন জরুরি। গণ-গোসল তাই কেবল প্রতীকী নয়, বরং নদীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা। তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন “তিতাস নদী আমাদের প্রাণ। অথচ দখল-দূষণে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিশ্ব নদী দিবসে আমরা মানুষকে আবার নদীর দিকে ফেরাতে চাই। মানুষ যতো নদী মুখী হবে, নদীতে আসবে নদী ততই প্রাণবন্ত ও দখল – দূষণ মুক্ত থাকবে। জনগণ সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আমরা আশা করবো নদীর অভিভাবক হিসেবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর গুলো তাদের যথাযথ নজরদারি নদীর উপর রাখবে। তাতে নদীর পানি,সীমানা, নাব্যতা,জীববৈচিত্র্য সব ঠিক থাকবে। আমার ফিরে পাবো আমাদের দেশীয় মাছের আধার। ”
তাছাড়া বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূইয়া, সুশান্ত পাল, খাইরুজ্জামান ইমরান, মোস্তফা দেলোয়ার, আব্দুর সাকির ছোটন, জুবাইদুর রহমান মেহেদী,শাকিল আহমেদ, বিজয়নগর থেকে অংশগ্রহণ করেন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক (রুবেল) হুসেইন, জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদুল হাসান ইমন, লোকমান হোসেন,আশিকুর রহমান, আবুল হাসনাত, সুমন মিয়া সহ প্রমুখ।