২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে নিজের শ্বশুরের ৩ স্ত্রীসহ শ্যালিকা, ফুফু, চাচী ও স্বজনসহ ৭৬ জন সুস্থ মানুষকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর ভাতা ও সরকারি সুবিধার টাকা আÍসাতের অভিযোগ উঠেছে। সুস্থ ব্যক্তিদের নাম প্রতিবন্ধী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে।
অত্র ৫নং ওয়ার্ডে ১৬৭ জনের নাম প্রতিবন্ধী তালিকায় থাকলেও ৭৬ জনই ভুয়া। প্রতিবন্ধী এবং তাদের নাম অর্থের বিনিময়ে তালিকায় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের ছয়ঘট্টি গ্রামের মো. আব্দুল হালিম মিঞা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য হার“ন অর রশিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউপি সদস্য হারুন, ৪নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ভুয়া প্রতিবন্ধী তালিকা তৈরি করেন এবং নিজের শ্বশুরের ৩ স্ত্রীসহ শ্যালিকা, ফুফু, চাচী ও আরও কিছু স্বজনদের সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর তালিকায় এনে তার পরিবারের মোট ২২ জন ব্যক্তি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছে যা সকলেই সুস্থ ব্যক্তি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার অনেকে জানেন না যে তাদের নামে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর অর্থ অন্য নাম্বারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাটশাও গ্রামের শহর বানু নামে প্রতিবন্ধী তালিকায় ০১৭৫৪২০৪৩৫৯ নম্বরে, মোহাম্মদ আলীর নামে ০১৬৩৭৯২৯৩৩৮ নম্বরে ও আজিবর রহমানের নামে ০১৬৪৫৫৬২০৩৪ নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ, বিকাশ, রকেট, অন্যান্য) এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর সরকারি অর্থ উত্তোলন করা হয়। কিন্তু উক্ত ব্যক্তিরা জানেনই না যে তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব কাজে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হারুন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। ফলে প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য অধিকার থেকে।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ তদন্তপূর্বক দোষীদের বির“দ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তদন্ত সাপেক্ষে এ অভিযোগের বিষয়ে দিনাজপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুনীর হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও কিছু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ