২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ‘মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন।।
প্রতিনিধি, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের অর্থের প্রলোভনে একটি কুচক্রীমহলকে ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের চলমান ৮ দফা আন্দোলন ব্যহত করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ‘মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহ ও এলাকার তরুণ, শিক্ষিত যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ধানখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষরা অংশগ্রহন করেন। আধা ঘন্টার এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্তদের আট দফা দাবি আদায় নিয়ে চলমান আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী রবিউল আউয়াল অন্তর, পূনর্বাসন আবাসন পল্লী স্বপ্নের ঠিকানার বাসিন্দা মো. জামাল মৃধা, হাসান মৃধা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী রবিউল আউয়াল অন্তর বলেন, আমাদের আট দফা আন্দোলন বানচাল করার জন্য চক্রান্ত শুরু করেছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা। আমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পক্ষকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। এরা বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে আন্দোলন ব্যহত করার জন্য। তবে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, কোনো কিছুতেই আমাদের আট দফা দাবি থেকে সরাতে পারবেনা। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব, যতদিন পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য অধিকার আট দফা বাস্তবায়ন না হয়।
গণ অধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সহসম্পাদক ও ধানখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর গত এক বছর ধরে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি গত ২৮ আগস্ট কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়। এ সময়ের মধ্যে আট দফা দাবি পূরণ করা না হলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রমুখী ‘সড়ক ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করার ঘোষণা দেন।
এদিকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি সুপারভাইজর মো. রাশেদুল ইসলাম গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সাধারণ ডায়েরিতে রবিউল আউয়াল অন্তরকে অনাকাংখিত পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়।
রবিউল আউয়াল অন্তর আরও বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক সমস্যার কোনো সমাধান না করে এলাকাবাসীকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। এমনকি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোকেরা শান্তিপূর্ণ এলাকাকে অশান্ত করে বর্তমানে যেসব মানুষ এলাকায় বসবাস করছে, তাঁদেরকেও উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে।’