২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে পেটালেন বিএনপি-ছাত্রদল নেতারা

স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে পেটালেন বিএনপি-ছাত্রদল নেতারা

আজকের ক্রাইম ডেক্স
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে বের করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজসহ ১০–১২ জন লাঠিসোটা ও রড–হাতুড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা অফিসকক্ষে ঢুকে শিক্ষক শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। শিক্ষককে উদ্ধার করেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ‌আমাকে জনসম্মুখে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। ইউনিয়ন পরিষদে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। আবার স্কুলে গেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল জানান, স্কুলে এসে দেখেন নেতারা তার অফিস কক্ষে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায় যুবদল নেতা শফিকুলকে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। এরপর তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে খবর দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ ফোন রিসিভ করেননি। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু বলেন, ‌‌‌‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না,’ এবং ফোন কেটে দেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‌‌‌‌‘যদি কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019