২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স : সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সহকারী উপদেষ্টা, সচিব ও ডিজি স্যারের সাথে কথা হয়েছে। তারা বরিশালের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। অচিরেই সারা দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও আগামী মাসে ৩২শত নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের হাসপাতালে তুলনামূলক বেশি চিকিৎসক ও নার্স পাবে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। একই সাথে খুব দ্রুততার সাথে আমাদের হাসপাতালের জন্য ১টি এমআরআই মেশিন, ক্যাথ ল্যাব ও সি-আর্ম মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর।
হাসপাতালের ৩য় তলায় মেডিসিন কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ১৯৬৮ মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয়ে ছিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। ৫৮ বছর পর হাসপাতালটির অবকাঠামোগত তেমন উন্নতি হয় নি। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন নতুন ভাবে ৭০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এই হাসপাতালে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এক বেডের বিপরীতে ৩ জন রোগী সেবা নেন। বিপুল পরিমাণের রোগী এখানে সেবা নিলেও অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালের টয়লেট ও পরিবেশ নোংড়া হওয়াসহ সর্বক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানে পদায়নকৃত স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স এবং স্টাফদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, হাসপাতালে সবচেয়ে বেশী রোগী সেবা নেন মেডিসিন বিভাগ থেকে। মেডিসিন বিভাগটি নতুন ভবনে হস্তান্তর করায় সেখানে রোগীদের নিদারুণ কষ্ট হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে রোগীদের নানা অভিযোগ আসছে। তাই এই সমস্য সমাধানের জন্য আমরা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মেডিসিন বিভাগটি পূর্বের স্থলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন ভবনে বহিঃ বিভাগ স্থানান্তরের কার্যক্রম চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।