২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হওয়াসহ স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অ্যনেস্থেসিয়া ও গাইনী চিকিৎসক না থাকায় মাতৃ-প্রসূতি সেবায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করা এ হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রসূতি রোগীদের অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিরূপায় হয়ে তাদের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরবর্তী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা পেতে ছুঁটতে হচ্ছে। এতে প্রসূতি রোগীদের বাড়তি ব্যায়ভারসহ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০জন বিশেষজ্ঞসহ মোট ৩২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র ৮জন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। অ্যানেস্থেসিয়া,গাইনী,মেডিসিন, শিশু, চর্ম ও যৌন,অর্থোপেডিক্স,সার্জারি ও হৃদরোগ,নাক কান গলা ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য রয়েছে। মাত্র ৮ জন চিকিৎসকের পক্ষে বানারীপাড়াসহ পাশর্^বর্তী ৪টি উপজেলার কয়েক লাখ অধিবাসীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমতি পেলেও এখনও পূর্বের ৩১ শয্যার জনবলেই চলছে। গত ১৫ বছরেও এ হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল পদায়ন করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফকরুল ইসলাম মৃধা বলেন, এ হাসপাতালে ১০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ৩২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র ৮জন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনী চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। মাত্র ৮জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে হাসপাতালের জরুরী,অন্তঃ ও বর্হিবিভাগ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সংকটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। তিনি অ্যানেস্থেসিয়া,গাইনী,শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ শুণ্য পদগুলোতে দ্রুত পদায়ন করে এ সংকট দূরীকরণের দাবি জানিয়েছেন। ###