২৫ Jun ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কলাপাড়া প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে মারধর হামলা ছিনতাইয়ের অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এতে কলাপাড়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবিরুল ইসলাম মৃধা ও তার দুই ভাইসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) দায়ের করা এ মামলায় আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। কলাপাড়ার ধানখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি থেকে কয়লা উত্তোলনের লেবার ও পেডুলার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ মামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কলাপাড়ার চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসীন্দা আমিনুল ইসলাম মহসিন তালুকদারের ভাই আতিকুর রহমান তালুকদার এ মামলাটি করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, বিদুৎকেন্দ্রের জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলনের লেবার সরবরাহসহ পন্টুন ও পেলুডার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজ মূল মালিক হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ৬ মাসের চুক্তিতে কার্যাদেশ নিয়ে এএমটি এন্টারপ্রাইজের মালিকের ভাই প্রতিনিধি হয়ে লেবারসহ ১২ মে সকাল ১১ টায় পেডুলার সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নেন। এসময় আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় এসে এককালীন পাঁচ লাখ ও প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাদের উপর মারধর ও হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে সাথে থাকা টাকা পয়সা ও গলার স্বর্ণালংকার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিজ্ঞ আদালত কলাপাড়া থানার ওসি কে বিষয় টি এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি যুবদল নেতা কবিরুল ইসলাম মৃধা জানান, আমার ভাই শাহীন মৃধার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে বাদী ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা মারধর ও নারকীয় তাণ্ডব চালায়। অফিসঘরে অগ্নি সংযোগ করে আমার ভাই কে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা করায় এটি একটা কাউন্টার মামলা। চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।