১৬ মে ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স:: মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এতিম দেখিয়ে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভান্ডারিয়া উপজেলার এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘সে যে-ই হোক আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।
লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগ রয়েছে ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের ওয়াজেদিয়া শিশু সদনে (এতিমখানার) ভুয়া তালিকা তৈরি করে এতিমের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার শিক্ষক পৈকখালী মোমিনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামী নেতা ও শিক্ষক আবুল বাশার। এসব শিক্ষকরা ওই এতিমখানা পরিচালনা করছেন। এদিকে অভিযোগ রয়েছে ওয়াজেদিয়া এতিমখানায় কাগজে কলমে ৪১ জন এতিম থাকলেও তা পাওয়া যায়নি।
যেকারণে পিরোজপুর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ইতিমধ্যে ওই এতিমখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। সমাজসেবা কার্যালয় ওই এতিমখানায় ৯ জন এতিমের নাম বাদ দিয়ে বর্তমানে ৩২ জনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, ওই এতিমখানায় ৩২ জন এতিমের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী পৈকখালী মোমিনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
পৈকখালী মোমিনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই এতিমখানায় মেস ভাড়া নিয়ে এতিম পরিচয় দিয়ে থাকছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা জানায়,তারা পার্শ্ববর্তী পৈকখালী মোমিনিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার শুরুতেই ওয়াজেদিয়া এতিমখানায় থেকে পড়াশোনা করছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পৈকখালী গ্রামের ওয়াজেদিয়া শিশু সদনে গেলে সেখানকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পৈকখালী মোমিনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ মোফাজ্জল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, ‘ প্রিন্সিপাল স্যার অধিকাংশ সময়ই ডিসি স্যারের সঙ্গে মিটিংয়ে থাকেন।
প্রিন্সিপাল স্যারকে পাওয়া এতো সহজ নয়’। এদিকে প্রিন্সিপালের কক্ষে থাকা আরেক শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, আমি এখানকার শিক্ষক। পাশাপাশি ভান্ডারিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির, আমি। আমাদের এই এতিমখানার সকল বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ডিডি স্যার (উপপরিচালক) অবগত রয়েছেন।
৪১ জন এতিমের স্থলে কমিয়ে ৩২ জনের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে আবুল বাশার বলেন, সেটা সমাজসেবা কার্যালয়ের ডিডি স্যারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এদিকে পিরোজপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল কবির বলেন, গোপনে ওয়াজেদিয়া শিশু সদনে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।