২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী রুপাতলীর হাউজিং কাঁচাবাজারের ইজারাদার’দের কবলে পড়ে হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য।
‘এ’ নিয়ে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না তার কোন প্রতিকার।
সরকারি নির্দেশনানুযায়ী মাছ-মাংস ও সবজি সহ অন্যান্য দোকান প্রতি খাজনা আদায়ের কথা ৫/ ১০/১৫ টাকা করে কিন্তু প্রতি দোকান থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০০ থেকে শুরু ৩০০ টাকা।
সরকারি নিয়ম থাকলেও বাজারে টানানো হয়নি কোন খাজনা চাট ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় না খাজনা আদায়ের রশিদও।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, ৫ অগাস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পরে ছাত্রদের সহযোগিতায় কিছুটা স্বস্তিতে ব্যবসা করেছি আমরা।
কিন্তু নতুন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হাট বাজার ইজারা’দেয়। প্রথমে বুঝেছি আগের থেকে
খাজনা কম হবে, এবং পরিবার নিয়ে একটু ভালো ভাবে খেয়ে পরে বেছে থাকব।
কিন্তু বাজার ইজারার প্রথম দিনেই চিত্র পুরো উল্টো বিগত দিনের থেকে খাজনা আরো বেড়ে গেছে। এটা কল্পনাও করতে পারি নাই। এভাবেই নিজেদের দুঃখের কথা বলছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন,
‘খোলা জায়গায় চটে বসে আমরা সবজি বিক্রি করি। আমাদের প্রতি চটের (দোকানের) জন্য সরকার–নির্ধারিত খাজনা ৭ টাকা; অথচ আদায় করা হয় ২০০ টাকা। যার স্ব-চিত্র ভিডিও সাক্ষাৎকার রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমটাই দাবি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অবিযোগ করে আরো বলেন,
সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে হাট বাজার গুলো ইজারা নিচ্ছেন একটি কুচক্রী মহল।
এতে সরকারি রাজস্ব বাড়লেও তার বোঝা পড়ছে সাধারণ ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাঁধে। নির্ধারিত খাজনার চেয়ে আট থেকে দশগুন বেশি টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মহানগর বিএনপির সদস্য ও ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক নান্টু জানান, বাজারে সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া আমার কাছে সমীচীন মনে হচ্ছে না। যদি কেউ বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকে তার দায়ভার তাদের নিজেদে নিতে হবে।
এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ নিজেকে ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আজকে তো রেট চার্ট হাতে পাইনি এই জন্য টাকা উত্তোলন করতে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অমান্য করে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনি বাজারে চা খাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
অপরদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রেজাউল বারীর ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।