১৪ মে ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন, ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কামরুল হাসান, বাউফল প্রতিনিধি :
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মৈশাদি এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মৈশাদি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি কর্মী মো. মফিজ হাওলাদার (৫৫) সঙ্গে নওমালা ইউনিয়ন ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি মো. হান্নান হাওলাদারের (৪৫) বিরোধ চলে আসছে। গতকাল বুধবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মফিজ হাওলাদারকে মারধর হান্নান হাওলাদারের লোকজন। এই মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মফিজের আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে ঘরে হামলা চালায়। তখন ওই বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েন জহির ও তাঁর লোকজন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়। এক পর্যায় জহির মুন্সি ও মো. শাহাবুদ্দিনকে ধরে পিটুনি দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জহির মুন্সি ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহত ব্যক্তির মধ্যে জহির মুন্সি (৬০) ও তাঁর ছেলে মো. তানভীর (২৯) এবং কর্পূরকাঠী গ্রামের মো ফকরুল ইসলামকে (৪৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কবির হোসেন কিবরিয়াকে(৪৫) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জহির মুন্সির ভগ্নিপতি মফিজুর রহমান বলেন, তাঁকে মারধর করেছে। তা জিজ্ঞেস করতে তাঁর স্বজনেরা হান্নান হাওলাদেরর বাড়িতে গেলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে হান্নানের লোকজন।
আহত কবির হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই হান্নান অভিন্ন ভাবে বলেন, মফিজুর অন্য এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করেছে। এলাকাবাসী তাঁদের পিটুনি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।