২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের কাঠিপাড়া গ্রামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ১৩ ই নভেম্বর বিকেলে রাজাপুরের কাঠি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলহাজ্ব জাফর আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ আজাদ বলেন আমরা বিভিন্ন সরকারি অফিসে ইউনুচ আলী ডাকুয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তার দুই ছেলে বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট ব্যবহার করে চাকুরী করে।এই বিষয়ে তদন্তের জন্য অভিযোগ দিয়েছি তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় ঝালকাঠির চার সাংবাদিক গঠনস্থলে উপস্থিত ছিলেন তাদের সামনেই আমাদের উপর হামলা চালানো হয় ।হামলায় আমার বাবা সহ ৭জন আহত হয়েছে।এবং আমাদের হুমকি দিয়েছে যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে কোন কথা বলি আমাদের হত্যা করবে।আমরা সরকার ও প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মো. আজাদ, মো. আনিস, এবং ,৫ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ,এবং গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত আজাদ কে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।
আহতরা হলো মো. আজাদ (পিতা: আলহাজ্ব জাফর আলী হাওলাদার), মো. আনিস (পিতা: আলহাজ্ব জাফর আলী হাওলাদার), ইস্কেন্দার মাষ্টার (পিতা: জবেদ আলী হাওলাদার), কুদ্দুস (পিতা: মোসলেম তালুকদার) এবং সালাউদ্দিন (পিতা: আব্দুর সোবাহান),রাকিব পিতা আলহাজ্ব জাফর আলী হাওলাদার,
আহত আজাদ বলেন হামলাকারিরা হলো ইউনুস আলী ডাকুয়া, তাজেল আলী ডাকুয়া, মামুন (পিতা: ইউনুস আলী), সোরোয়ার (পিতা: কাসেম সিকদার), এবং আলামগীর তালুকদার (পিতা: মৃত সৌজউদ্দিন মৌলভী) জেনারুল পিতা আক্কাছ ,ইউনুস আলী ডাকুয়া পিতা তানজের আলী ডাকুয়া সহ ৪০/৪৫ জন
এবিষয়ে ইউনুছ আলী ডাকুয়ার ছেলে শফিউল হাসান বাদল বলেন আমার বাবার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সত্য নয় ।২০০৫ সালে আমার বাবার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
আমাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা এলাকার সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু।গত ৫ ই আগষ্ট আমাদের বাড়িতে ডাকাতি হয় আমরা মামলা করি সেই মামলায় পুলিশ এক জনকে আটক করে।
আটক করার পর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ঐ সন্ত্রাসীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।ঘটনার দিন আমাদের ফার্মের গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকা বাসীর সাথে তাদের মারামারি হয়।এতে কয়েক জন আহত হয়েছে।মারামারির সাথে আমরা জড়িত ছিলাম না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে বিভ্রান্তি চলছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঠিক তদন্ত ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।