২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
২৫০ বছরের দরগাহ বাড়ির মাজার গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

২৫০ বছরের দরগাহ বাড়ির মাজার গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

আজকের ক্রাইম ডেক্স
নোয়াখালীর জেলা শহরের ২৫০ বছরের দরগাহ বাড়ির মাজার গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ উঠেছে, মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ছেলের নেতৃত্বেই মাজারে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুরে অবস্থিত ফকির চাড়ু মিজি শাহ (র:) মাজার (দরগাহ বাড়ির মাজার) ১৮ থেকে ২০ জনের একটি দল গুঁড়িয়ে দেয়।

জানা যায়, লক্ষ্মীনারায়ণপুর দরগাহ বাড়িতে প্রায় ২৫০ বছর আগে চাড়ু মিজি শাহ্‌ নামের এক সাধুকে দাফন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তার দাফনস্থান ঘিরে মাজার তৈরি করেন ভক্তরা। প্রতিবছর সেখানে মাসব্যাপী ওরস ও মেলার আয়োজন করা হতো। যদিও সেখানে বছরের বাকি সময়জুড়ে বড় পরিসরে কোনো কার্যক্রম চালানো হতো না।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের ছেলে মো. বিজয়ের নেতৃত্বে সেখানে হামলা করে ১৮-২০ জনের একটি দল। সে সময় তারা মাজারের কবরস্থান ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেয়।

মাজার কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের বলেন, সকালে মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের ছেলে মো. বিজয়ের নেতৃত্বে ১৮-২০ জনের একটি দল সেখানে হামলা চালায়। তারা মাজারের কবরস্থান ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বিজয়ের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

মাজারে কোনও অসামাজিক কার্যকলাপ হতো না দাবি করে মাজার কমিটির সভাপতি আবু নাছের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের মাজারে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ হতো না। বছরে একবার মেলা হতো। আমরা তিলে তিলে মাজারের নামে প্রায় এক একরের মতো জায়গা কিনেছি। বিজয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে এখন বলে বেড়ায় তারা নাকি দেশ স্বাধীন করেছে।

আবু নাছের আরও বলেন, মাজার ভাঙচুরের বিষয়ে তাজুল ইসলাম তার ছেলে বিজয়কে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, মাজার বেদাত, তাই এটা ভাঙচুর করা হয়েছে। মাজারটি পুনরায় সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাবজেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আমরা মাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যদি অভিযোগ দেয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019