২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। আন্দোলন করছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। তবে এটি এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের ‘দফা এক দাবি’তে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিক্ষোভে লাঠি পেটা, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়া হয়। এরপরই ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি। ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দলটি।
এরপরই বার্তা দিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। তারা বলছেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের পাশে আছি, রাজনীতিতে নেই।’ তবে ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নেই। সন্তানহারা দম্পতি চান, মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার যত দিন না হচ্ছে, তত দিন এই আন্দোলন চলতে থাকুক। তবে, বুধবারের বাংলা বন্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তারা।
তাদের আক্ষেপ, এখনও একজন ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হলো না! সিবিআইয়ের উপর তাদের আস্থা আছে। তবে প্রশ্ন একটাই, কেন এত দেরি হচ্ছে?
চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিক্ষোভে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি।
কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ‘সাধারণ ধর্মঘট’। এদিকে এ কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোনো বাংলা বন্ধ হবে না। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ ব্যর্থ করুন।
এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার স্পষ্ট বার্তায় বাংলার জনগণকে বলেছে, তারা যেন বন্ধ পালন না করেন। তারা যেন জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন। তবে বন্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নির্যাতিতার পরিবার।