২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভোলার দৌলতখানে মহিউস সূন্নাহ আকবারুল উলুম ( সেলিম চেয়ারম্যান বাড়ির দরজা) কাঠপট্টি মাদ্রাসার পরিচালক খোরশেদ আলমের অর্থ আত্মসাৎ, দূর্নীতি ও মাদ্রাসার তহবিল সমূহের অর্থ তছরুপ চলছে তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে। তিনি প্রায় ১০ বছর যাবৎ মাদ্রাসা পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। সহকারী শিক্ষকদের সাথে তার এ বিষয় নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দেয় গত বছর রমজান মাসের পর। করোনার প্রকোপে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের থেকে নেয়া বেতন ও অন্যান্য আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকগণও প্রতিষ্ঠানের বেতন থেকে বঞ্চিত হন। এমতাবস্থায় চরম দূর্বিষহ জীবন কাটাতে হয় শিকঝকদেরকে।
প্রতিষ্ঠানের ১ জন সিনিয়র শিক্ষক মাদ্রাসার সভাপতি মাইনুল হক এর নিকট হাওলাৎ বাবদ কিছু টাকা সহকারি শিক্ষকদের দিতে অনুরোধ করেন। টাকা চাওয়ায় ঐ শিক্ষক সহ অনেক শিক্ষককের সাথে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন। কিন্তু করোনার শেষ দিকে এসে সভাপতি জানান যাকাত ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা মাওঃ খোরশেদ আলম খরচ করে ফেলেছেন। শিক্ষকদের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়া যাকাত ফান্ডের টাকা খরচ করার ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২০২৩ ইং সনের এপ্রিল মাসের অনুমোদিত বেতনের ৫৬ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক খরচ করে ফেলেন, মে মাসে তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেন ৬২ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের দেন ৭ হাজার টাকা করে। জুন মাসে নূরাণী বিভাগের মাসিক পরিক্ষা নেওয়ার সম্বন্ধে ঐ বিভাগের ৩ জন শিক্ষকের নিয়ে পরামর্শ সভায় খোরশেদ আলমের সঙ্গে ১ জন সিনিয়র শিক্ষকের মধ্যে তার বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে তাকে জুতা পেটা করতে চায় ঐ শিক্ষক। এবং তিনি পরিচালক খোরশেদ আলমের কক্ষে তালা মেরে দেন। এরপর একে একে বের হয়ে আসতে থাকে মাও: খোরশেদ আলম এর আর্থিক দূর্নীতি ও লুটপাটের নানান কেলেঙ্কারি, তার আর্থিক দূর্নীতির সহযোগী মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাই মাষ্টার প্রতিষ্ঠানের চেক বই সহ ধরা পড়েন ক্যাশিয়ার ও শিক্ষা সচিবের কাছে। মাদ্রাসার একাউন্ট থেকে ক্যাশিয়ারের স্বাক্ষর ছাড়া ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা উত্তোলণের বিষয় কোন সদুত্তর দিতে না পেরে আব্দুল হাই মাষ্টার কৌশলে পালিয়ে যান। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মাওঃ খোরশেদ আলম কোনঠাসা হয়ে পড়েন এবং ২৩ ইং সনের রমজানে যাকাত ফান্ডে আসা দানের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার যাকাতের টাকা খরচ করে ফেলার কথা স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি মাদ্রাসার জেনারেটর,, মাছ বিক্রি, বই ক্রয় – বিক্রয়ের টাকা তছরুপ করেছেন, মাদ্রাসার বোডিংয়ের চাল ক্রয়ের টাকা নিয়ে চালের আড়দে না দিয়ে ২৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের জন্য চোখ রাখুন “ক্রাইম নিউজ” এ আমাদের সঙ্গেই থাকুন।