২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ ভারতীয় বিহার রাজ্যের এক নাগরিক বাংলাদেশে ৪ বছর ৩ মাস জেল খেটে আইনি প্রক্রিয়ায় তার পরিবারের হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার জয়নগর সীমান্তে শূন্য রেখায় দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জ গ্রামের দেবনাথ ঋষির ছেলে শেখরন কুমার( ২৩) কে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে ছিলেন গেদে ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশী, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি, দুলাভাই ছোটু কুমার প্রমুখ।
শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার ছেলেকে ফিরে পেলাম।কমি বড্ড খুশি।উল্লেখ, শেভরন নাটোর ও চুয়াডাঙ্গার জেলা কারাগারে মোট ৪ বছর ৩ মাস বন্দি ছিলেন। ।
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেভরনকে আটক করে নাটোর জেলা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ছিলেন ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। ফলে আবার তাকে কারাগারে ফিরতে হয়।