২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
ঝালকাঠিতে জমি কিনে ঘর তুলতে গিয়েও ছোট ভাইয়ের মিথ্যা মামলার শিকার বড় ভাই

ঝালকাঠিতে জমি কিনে ঘর তুলতে গিয়েও ছোট ভাইয়ের মিথ্যা মামলার শিকার বড় ভাই

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন পোনাবালিয়া ইউনিয়নে জমি কিনে ঘর তুলতে গিয়ে বড় ভাইকে ঘর তুলতে বাধা অতপর দিনমজুর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাই আদালতে মামলা দায়ের করেন । সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নাধীন
ভাওতিতা গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন খলিফার বড় ছেলে মোশারফ খলিফার বিরুদ্ধে তারই আপন ভাই হারুন খলিফা বাদী হয়ে ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর- এম.পি মোং নং ৪৫/২০২৪।

এ বিষয় মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ জানুয়ারী সকাল ১০টায় হারুন খলিফার পিতার রেখে যাওয়া স্ত্রী, ৭পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের (ওয়ারিশগন ) মধ্যে পিতার মৃত্যুর পর থেকে তিনি একাই পিতার সম্পত্তি দখল পূর্বক দেখা শুনা করিয়া আসছেন। উক্ত জমিতে তার ভাই মোশারফ খলিফা ভুমি দস্যু প্রকৃতির লোকজন নিয়ে জোর করে তার রোপনকৃত মূল্যবান গাছপালা কাটিয়া জমি দখল পূর্বক ঘর উঠানোর চেষ্টা করিতেছে। গত ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মোশারফ খলিফা অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে জমিতে থাকা গাছপালা কাটিয়া ঘর তুলতে গেলে হারুন খলিফা বাধায় লোকজন তখন চলিয়া গেলেও পরবর্তিতে অধিক লোকজন নিয়ে ঘর নির্মান করবে বলে জানায়।

এ বিষয় বিবাদি মোশারফ খলিফার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি আমার এক চাচাতো বোন কুলসুমের কাছ থেকে গত ১৮ এপ্রির ২০০৭ তারিখে ৪ শতক জমি ক্রয় করি। আমি জমি কেনার পর থেকেই সেখানে আমি বসত করে আসছি। আমার বসত ঘরটি জরাজীর্ন হওয়ায় আমি পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর করতেছি। আমার ভাই হারুন খলিফা কখনও এখানে এসে আমাকে ঘর তুলতে বাধা দেয়নি এবং মামলা উল্লেখিত ২৮ জানুয়ারী সকালে আমার ভাই আমার বাড়ীতে আসেনি এবং তার সাথে আমার বা আমার পরিবারের কোন সদস্যদের সাথে কোন প্রকার কথা হয়নি। আমার ভাই আমার ক্ষতি সাধন ও আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য আমি সহ আমার একমাত্র পুত্র সন্তান লাবলু খলিফা , ছোট ভাই রিপন খলিফা ও সুমন খলিফাকে বিবাদী করে একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি একজন দিন মজুর মানুষ বর্তমানে আদালতের প্রতি সম্মান পূর্বক আদালতের নির্দেশে ১৪৪ মোতাবেক আমার বসত ঘরের কাজ বন্ধ রেখেছি। আমি বর্তমানে প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে জুবরি ঘরে বসবাস করছি।

এ বিষয় হারুন খলিফার দায়ের কৃত মামলার ১নং স্বাক্ষী পার্শবর্তী সিলারিশ গ্রামের মৃত মোসলেম খানের ছেলে হেমায়েত খানের কাছে তার ব্যবহারিত মুঠোফোনে ২৮ জানুয়ারি সকালে মোশারফ খলিফার বসত বাড়ীতে ঘর তুলতে হারুন খলিফা বাধা প্রদান করার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয় তিনি কিছু জানেন না।

অপর দিকে মামলার ৪নং স্বাক্ষী সিলারিশ গ্রামের মৃত সৈজদ্দিন খানের ছেলে জলিল খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। তবে বিবাদিদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ থাকায় আমি সাক্ষি হয়েছি বলেও তিনি জানান। উল্লেখ থাকে যে, হেমায়েত খান ও জলিল খানি একই বাড়ীর এবং সম্পর্কে চাচাত ভাই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019