২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বিরামপুরে অবৈধ জাল দিয়ে পোনানিধন, বিলুপ্তির পথে নানা প্রজাতির মাছ

বিরামপুরে অবৈধ জাল দিয়ে পোনানিধন, বিলুপ্তির পথে নানা প্রজাতির মাছ

শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে যমুনা নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে পোনা মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে। ছোট ফাঁসের গড়া জাল, বেড় জাল, ভাসা জাল ও বেহুন্দি জাল,শয়তান জাল, কারেন্ট জালসহ নানা ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।

এসব জালে ধরা পড়ে প্রতিদিনই অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবাধে মাছের পোনা নিধনযজ্ঞ বন্ধ না হলে অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বিরামপুরের প্রধান নদী যমুনা এছাড়াও এসব নদীর শাখা-প্রশাখায় বেশ কিছু প্রবাহমান খাল রয়েছে।এই নদীর বেশ কিছু খাল ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছোট ফাঁসের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল পেতে অবাধে মাছ ধরা হচ্ছে। বিরামপুর যমুনা নদীতে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পোনা নিধনের মহোৎসব। প্রায় অর্ধশত জেলে চিংড়ি, সহ বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ ধরার নামে নিধন করছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। বিরামপুরের শ্রীপুর ভগবতীপুর থেকে কাটলা পর্যন্ত যমুনা নদীর দুই পাড়, সন্ধ্যা পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পোনা নিধনের মহোৎসব।

বিরামপুর উপজেলার শিমুলতলী, রাজসিংপুর মিরপুর ভগবতীপুর এলাকায় দেখা যায়, যমুনা নদীতে জেলে বেহেন্দি, বেড় ও নেট জাল,গড়া জাল পেতে দিয়ে মাছ ধরছেন।

এ সময় দেখা যায়, পোয়া, টেংরা,সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের পোনা আটকা পড়ছে। জাটকার চেয়েও ছোট সাইজের বোয়াল, আইড়,, বাইম ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ,ছোট ফাঁসের জালে ধরা পড়ছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব পোনা ‘গুঁড়া মাছ’ হিসেবে কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

শিমুলতলী এলাকায় যমুনা নদীতে দেখা যায়,শয়তান জাল, কারেন্ট জাল, বেহেন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরছেন অনেকে। সাদিকুর রহমান নামে এক জেলে বলেন, ‘সবাই ধরছে তাই আমিও ধরি। কেউ তো কিছু কয় না। আমাদের এলাকায় ১৬ টি বেশি নৌকায় ভাসা নেট জাল দিয়া মাছ ধরি। সেখানে আরও কয়েকজন জেলে জানান, জালে জাটকা, বোয়াল, আইড়, তপসি, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক মাছ আর পোনা ধরা পড়ে। সেসব পোনা,গুড়া ছোট মাছ হিসাবে বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়।

শিমুলতলী যমুনা নদীতে অবৈধ শয়তান জাল ও ছোট ফাঁসের কারেন্ট জাল, নেট জাল উপকূলে সয়লাব।

তাদের কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আইনকে মানছেনা। এতে পুরোপুরিভাবে এ আইনকে অবমাননা করা জাল বন্ধে আমরা মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসব জেলেদের কারণে উপকূলে মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেই।’

‘একশ্রেণির জেলে বছরব্যাপী অবৈধ জাল অবাধে ব্যবহার করে মাছের পোনা নিধন করে আসছে। আমরা বারবার মৎস বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এভাবে পোনা শিকার চলতে থাকলে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার শেষ হয়ে যাবে,, বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার হোসেন বলেন, ‘অবৈধ জাল পাতা বন্ধে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করে আসছি। তবে আমরা শিগগিরই অভিযান আরও জোরদার করবো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019