শফিকুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে যমুনা নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে পোনা মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে। ছোট ফাঁসের গড়া জাল, বেড় জাল, ভাসা জাল ও বেহুন্দি জাল,শয়তান জাল, কারেন্ট জালসহ নানা ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।
এসব জালে ধরা পড়ে প্রতিদিনই অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবাধে মাছের পোনা নিধনযজ্ঞ বন্ধ না হলে অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বিরামপুরের প্রধান নদী যমুনা এছাড়াও এসব নদীর শাখা-প্রশাখায় বেশ কিছু প্রবাহমান খাল রয়েছে।এই নদীর বেশ কিছু খাল ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছোট ফাঁসের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল পেতে অবাধে মাছ ধরা হচ্ছে। বিরামপুর যমুনা নদীতে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পোনা নিধনের মহোৎসব। প্রায় অর্ধশত জেলে চিংড়ি, সহ বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ ধরার নামে নিধন করছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। বিরামপুরের শ্রীপুর ভগবতীপুর থেকে কাটলা পর্যন্ত যমুনা নদীর দুই পাড়, সন্ধ্যা পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পোনা নিধনের মহোৎসব।
বিরামপুর উপজেলার শিমুলতলী, রাজসিংপুর মিরপুর ভগবতীপুর এলাকায় দেখা যায়, যমুনা নদীতে জেলে বেহেন্দি, বেড় ও নেট জাল,গড়া জাল পেতে দিয়ে মাছ ধরছেন।
এ সময় দেখা যায়, পোয়া, টেংরা,সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের পোনা আটকা পড়ছে। জাটকার চেয়েও ছোট সাইজের বোয়াল, আইড়,, বাইম ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ,ছোট ফাঁসের জালে ধরা পড়ছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব পোনা ‘গুঁড়া মাছ’ হিসেবে কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
শিমুলতলী এলাকায় যমুনা নদীতে দেখা যায়,শয়তান জাল, কারেন্ট জাল, বেহেন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরছেন অনেকে। সাদিকুর রহমান নামে এক জেলে বলেন, ‘সবাই ধরছে তাই আমিও ধরি। কেউ তো কিছু কয় না। আমাদের এলাকায় ১৬ টি বেশি নৌকায় ভাসা নেট জাল দিয়া মাছ ধরি। সেখানে আরও কয়েকজন জেলে জানান, জালে জাটকা, বোয়াল, আইড়, তপসি, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক মাছ আর পোনা ধরা পড়ে। সেসব পোনা,গুড়া ছোট মাছ হিসাবে বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়।
শিমুলতলী যমুনা নদীতে অবৈধ শয়তান জাল ও ছোট ফাঁসের কারেন্ট জাল, নেট জাল উপকূলে সয়লাব।
তাদের কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আইনকে মানছেনা। এতে পুরোপুরিভাবে এ আইনকে অবমাননা করা জাল বন্ধে আমরা মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এসব জেলেদের কারণে উপকূলে মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেই।’
‘একশ্রেণির জেলে বছরব্যাপী অবৈধ জাল অবাধে ব্যবহার করে মাছের পোনা নিধন করে আসছে। আমরা বারবার মৎস বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এভাবে পোনা শিকার চলতে থাকলে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার শেষ হয়ে যাবে,, বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার হোসেন বলেন, ‘অবৈধ জাল পাতা বন্ধে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করে আসছি। তবে আমরা শিগগিরই অভিযান আরও জোরদার করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.