২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল)প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী সন্তানসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রাজগুরু গ্রামে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী মোসাঃ হোসনে আরা বেগম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পানিতে বাড়ির উঠানের মাটি ধুয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে উঠানে সুপারী গাছ ফেলে রাখা হয়েছে। প্রতিপক্ষও উঠানের দক্ষিণ দিকে পুকুরে পানি নিষ্কাসনের জায়গায় মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে রাখে। এতে উঠানে বৃষ্টির পানি জমে যায়। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ জুয়েল আমাদের পরিবারের লোকজন কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমার মেঝ মেয়ে খাদিজা বেগম প্রতিপক্ষ কে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার উপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেয় জুয়েল। পরে আমার মেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আমার অন্য মেয়ে পর্শিয়া, সালমা ও আমি মেঝ মেয়ে খাদিজাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমাদের উপরও হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমার মেঝ মেয়েকে উদ্ধার করে বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর
অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে খাদিজা শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী মোসাঃ হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই ৫ জনকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন রাজগুরু গ্রামের মৃত হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ জুয়েল, মৃত মকবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে আঃ রব হাওলাদার, মৃত তোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, পুত্র বধু নাজমা বেগম এবং নাতনী স্বর্ণা আক্তার।
অভিযুক্ত মোঃ জুয়েল এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাকে প্রথমে আঘাত করার পরে আমি আঘাত করেছি। তবে তারা উঠানে প্রথমে বাঁধ দিয়েছেন। পরে আমি আমার ঘরের পাশে বাঁধ দিয়েছি।
বাবুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।