২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বরিশালে শারীরিক সর্ম্পকে বিঘ্ন ঘটায় শিশুকে হত্যা করছিলো মায়ের পরকীয়া প্রেমিক

বরিশালে শারীরিক সর্ম্পকে বিঘ্ন ঘটায় শিশুকে হত্যা করছিলো মায়ের পরকীয়া প্রেমিক

আজকের ক্রাইম ডেক্স ॥ পাঁচ বছরের শিশু আবির ইসলাম জিহাদের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত শারীরিক সর্ম্পকে বিঘ্ন ঘটায় শিশুটিকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মায়ের প্রেমিক। পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় শিশুটিকে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মা মরিয়ম বেগম সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, নিহত শিশুর দাদি বাদী হয়ে একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মিলন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিশুর দাদি নাসিমা বেগম বলেন, আমি আর আমার ছেলে আল আমিন অনেকবার জিহাদকে নিতে তার নানা বাড়ি পটুয়াখালীতে গিয়েছি। কিন্তু মরিয়ম দেয়নি। রোববার শুনি বরিশালে মারা গেছে জিহাদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমিতো অশিক্ষিত মানুষ-লেখাপড়া জানি না। পুলিশ মামলা লিখে দিয়েছে। জিহাদের মা বলেছে সে মার্ডার করেনি। একাই মার্ডার করেছে মিলন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার রায় জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে নাসিমা বেগমের ছেলে আল আমিন ও তার স্ত্রী মরিয়মের মধ্যে ৬ মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর মরিয়ম তার ৫ বছর বয়সী ছেলে আবির ইসলাম জিহাদকে নিয়ে পটুয়াখালীতে বাবার বাড়ি চলে যায়। মরিয়ম এরপরে মিলন হাওলাদারের সাথে সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। ২১ এপ্রিল মিলনের সঙ্গে দেখা করতে এলে মিলন মরিয়ম ও তার ছেলে জিহাদকে নিয়ে হোটেল বায়েজিদের ১১১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

হোটেলে থাকালীন সময়ে জিহাদকে নিয়ে অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন মিলন। মরিয়মের সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনে শিশু জিহাদের জন্য বিঘ্ন হতো। এজন্য ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় যখন জিহাদের মা মরিয়ম হোটেল কক্ষে ঘুমাচ্ছিল তার পাশ থেকে জিহাদকে তুলে নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়াটারের ৫নং পরিত্যক্ত ভবনের ৩ তলার সিড়ির সামনে নিয়ে বুক, পিঠ ও মাথায় এলোপাথারী মারধর করে।

জিহাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কাঁধে করে হোটেল কক্ষে এনে পালিয়ে যায় মিলন। জিহাদের মা মরিয়ম ঘুম ভেঙে ছেলের এই অবস্থা দেখে হোটেলে ম্যানেজারের সহায়তায় জিহাদকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019