২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সৌদি প্রবাসী এক নারী (৪২) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত বুধবার দুপুরে উপজেলার খলিফার হাটসংলগ্ন একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। প্রবাসী নারী জানান, তিনি ২০১৭ সালে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে যান। কয়েক মাস পর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহী দিঘী এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন মিলনের (৫০) সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মিলন তাঁকে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল দেনমোহরে বিয়ে করেন। চার বছর তাঁরা সৌদিতে সংসার করেন। এ সময় বিভিন্ন অজুহাতে মিলন তাঁর কাছ থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে জানতে পারেন দেশে মিলনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরে মিলন কৌশলে বাংলাদেশে চলে এসে তাঁকে তালাক দেন। তিনি (নারী) কিছুদিন আগে দেশে ফেরেন।
প্রবাসী নারী অভিযোগ করেন, বুধবার বিকেলে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন তিনি। মিলন তাঁকে কৌশলে স্থানীয় একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মিলনের সহযোগীরা পাহারা দেন। ধর্ষণের প্রতিবাদ করলে মিলন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে টর্চ লাইট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে স্থানীয়রা গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সাবেক স্বামীর সঙ্গে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।