২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরিশাল শেরে ই বাংলা হাতপাতালের চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর

রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরিশাল শেরে ই বাংলা হাতপাতালের চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর

 
জামাল কাড়াল বরিশাল ব্যুরো প্রধান।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মে‌ডি‌সিন বিভাগের চিকিৎসকদের কক্ষে হামলা ভাঙচুর করেছে স্বজনরা। এ ঘটনার পর হামলাকারী রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করে। পরে চিকিৎসকদের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে রবিবার. দুপু‌রের দিকে মেডিসিন ইউনিট- ২ এর চিকিৎসকদের কক্ষে ভাঙচুর ঘটনা ঘটে।
মৃত ৫০ বছর বয়সী শহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কলসগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
মৃত রোগীর শ্যালক ফারুক হাওলাদার জানান, তার ভগ্নিপতি গত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। সকাল ৯টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে আনার পর মেডিসিন ইউনিট-২ এ ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ভগ্নিপতির বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অক্সিজেন দিতে দেরি করায় ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। এ সময় চিকিৎসক এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকি করেছে। বাবার মৃত্যুর পর তার ভাগ্নে জুম্মান ক্ষুদ্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দিয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুল বলেন, ‘মৃত রোগীর ছেলে জুম্মান চিকিৎসকের কক্ষে টেবিলের গ্লাস, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলেছে। জুম্মানকে আটক করা হলেও বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক দৃষ্টিতে চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
মেডিসিন ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সোলায়মান বলেন, ‘মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এ ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক। চিকিৎসক তিন জন হলে রোগী থাকে ৪০০ জন। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেনা। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয় সেটা সঠিক নয়, চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019