২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর হাতাহাতি

রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর হাতাহাতি

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস কক্ষের ভেতরেই দুই কর্মচরীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জনেই আহত হন। ফাইল পাশের নামে ঘুষ গ্রহণ ও সেই টাকার ভাগাভাগিতে অফিসের ভিতরেই হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ধামাচাপা দেন উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন।
গত বছর ৮ই নভেম্বর রাজশাহী বিমানচত্ত্বরের পাশে অবস্থিত জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভিতরেই ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন আফিসের ঐ দুই কর্মচারী। ঐ দুই কর্মচারী হলেন, কম্পিউটার অপারেটর শরিফুল ইসলাম ও উপ-পরিচালকের গাড়ির ড্রাইভার জহুরুল ইসলাম।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুমোদন নিতে আসা ভুক্তভোগীদের একটি ফাইল পাস করা নিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে তুমুল মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। কম্পিউটার অপারেটর শরিফুলকে উপ-পরিচালকের নামে একটি ফাইল পাস করতে বলেন জহুরুল। এ সময় কম্পিউটার অপারেটর শরিফুল বলেন, ফাইল সংশোধন করতে হবে। তখন ড্রাইভার জহুরুল বলেন, ম্যাডাম বলেছে সংশোধন না করেই ফাইল ছেড়ে দিতে হবে। একপর্যায়ে ফাইল পাসের টাকা কম বেশি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা৷ এরপর সিসিটিভি ক্যামেরা’র বাহিরে অন্য একটি কক্ষে তারা সেই ফাইল বাবদ ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করতে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই মারামারির ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

একটি বিশ্বাস্ত সুত্র নিশ্চিত করেন, উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীনের নানা অনিয়ম দুর্নীতি’র ফাইলপত্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুষের টাকা তুলে থাকেন ড্রাইভার জহুরুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত দিনে ম্যাডামের নামেই ফাইলের ভুল সংশোধন না করেই ফাইল ছেড়ে দিতে বলেন। সেই ফাইল পাস বাবদ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, দপ্তরটিতে ঠিকমত অফিস করেন না উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন। অফিসে গেলে অন্যান্য কর্মচারীরা বলেন, ম্যাডাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসে মিটিং এ আছেন। প্রায় কয়েকদিন গিয়ে প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি অফিসে আসেন কম। অফিস না করলেও তিনি (উপ-পরিচালক) ড্রাইভার জহুরুল ইসলামকে দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকেন।

অফিসে মারামারি’র বিষয় জানতে ড্রাইভার জহুরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, দুইজনের মধ্যে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে, মারামারি নয়। তবে ভিডিও ফুটেজ এর কথা বলতেই তিনি সব স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমাকে বেশি মেরেছে শরিফুল। অফিসের টেবিলে ফেলে আমাকে প্রচুর মারা হয়েছে। তবে ঘুষসহ অন্যান্য বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।

কম্পিউটার অপারেটর শফিকুল বলেন, আমার সঙ্গে মারামারি’র ঘটনা ঘটেনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কি বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি ফাইল সংক্রান্ত বিষয়ে। এর বাহিরে আমি আর কিছু বলতে পারবো না।
বেশ কিছুদিন রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসে গিয়ে উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীনকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, অফিসে বসার ব্যাপারে দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দুইজনকে মুচলেকা নিয়ে সর্তক করা হয়েছে। ফাইল পাসকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুত্রপাত নয়। অন্যান্য বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019