২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক: গত ৮ ডিসেম্বর ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তারপর ১৭ দিন ধরে মহাসচিব ছাড়া চলছে বিএনপি। এ কারণে কমিটি অনুমোদন, যৌথ সভা আহ্বান, দলীয় আর্থিক লেনদেনে চেকবইয়ে স্বাক্ষরসহ নানা কাজে সমস্যা হচ্ছে। এ সংকটকালে মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কে হবেন, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন দলের নেতা-কর্মীসহ সব মহলে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। সেজন্য বিএনপির হাইকমান্ড এ নিয়ে ভাবছে না। তবে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে শীর্ষ ছয়নেতাসহ আলোচনায় রয়েছেন অনেকে। জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতে দলের মহাসচিবের জামিন হবে। আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, অতীতেও দলের মহাসচিব কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। তখনো ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করিনি। তিনি দাবি করেন, মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে দলের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে উচ্চ আদালতে জামিন পেতে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নিয়েও তৈরি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। সূত্রমতে, ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশের আগে নেতা-কর্মীরা আটক হওয়ার পরও দল বেশ চাঙা আছে। দলীয় এমপিরাও সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে দলের মহাসচিবের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব কে পাচ্ছেন- তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। এরই মধ্যে একজন যুগ্ম মহাসচিবকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুজবও রটেছে।
যদিও বিএনপি বলছে, এ মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে মহাসচিব পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা নেই। মহাসচিব পদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও। স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।