২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স : বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন শারমিন নিঝুম শিলা (২০)।
তালাক দেওয়ার সাত দিন পর শিলাদের বাড়িতে ঢুকে তাকে বিষ মেশানো ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তার স্বামী সাগর।
২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান শিলা।
সাগরের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। শিলার বাবার বাড়িও একই গ্রামে। তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
নিহত শিলার ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তিন মাস আগে সাগরের সঙ্গে সম্পর্ক করে আমার বোনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে সাগর। গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে আমার বোন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাগরকে তালাক দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমাদের বাড়িতে এসে শিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সাগর।’
রবিউল বলেন, ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে গত ৩০ নভেম্বর তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিলাকে যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় তাতে বিষাক্ত কিছু মাখানো ছিল। চিকিৎসক শিলার ক্ষতস্থানের মাংস কেটে ফেলে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন ওই ধারালো অস্ত্রে কোনো বিষাক্ত পদার্থ মাখানো ছিল।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শংকর বালা বলেন, এ ঘটনায় গত ২ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাগর পলাতক রয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিলার মৃত্যু হওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে। সাগরকে ধরতে অভিযান চলছে।