২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
রাঙ্গা-পঙ্কজের এমপি পদের কী হবে

রাঙ্গা-পঙ্কজের এমপি পদের কী হবে

অনলাইন ডেস্ক
নিজ দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং পঙ্কজ নাথের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে বেশিরভাগ আইন বিশেষজ্ঞ মনে করেন দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে তাদের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। তারা যদি পদত্যাগ করতেন কিংবা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতেন তাহলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের সংসদ সদস্য পদ থাকতো না।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ পদবী থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

তিনি রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য।

এর দু’দিন আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য হইবেন না’।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা হলো, দুইটা ক্ষেত্রে চলে (এমপি পদ শূন্য হবে) যাবে। যদি তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন, যে দল থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। আর তিনি যদি সংসদে নিজ দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেন। এই দুই ক্ষেত্রে পদ চলে যাবে।

দুই সংসদ সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এই দুই জন তো পদত্যাগ করেননি। তাদের দলের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। কিন্তু তারা তো দলে আছেন। সেকারণে তাদের পদ যাবে না।

একই মতামত সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের।

তিনি বলেন, সংবিধানে সংসদ সদস্যদের অযোগ্যতার বিষয়ে বলা আছে। এই দুই জন সংসদ সদস্যের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তাদের ক্ষেত্রে এখন সংবিধানের অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য নয়। কারণ তারা পদত্যাগও করেননি। আবার দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ভোট দেননি। তাই এখানে ৭০ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য নয়।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, এই দুই জন তাদের দলীয় পরিচয়ে ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে, সেখান থেকে পদ হারালে হলে সংসদে তার অবস্থান কোথায় হবে? এখন অন্য দলে যোগ দেওয়ার বা স্বতন্ত্র এমপি হয়ে থাকার সুযোগও নেই। কারণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার শর্ত তিনি পূরণ করেননি। এ অবস্থায় দল তাদের অব্যাহতির বিষয়টি স্পিকারকে জানাবেন। স্পিকার এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019