২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
সনদ বাণিজ্যে কোটিপতি সহকারী শিক্ষক

সনদ বাণিজ্যে কোটিপতি সহকারী শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক
সনদ বাণিজ্যে কোটিপতি বনে গেছেন রাজশাহীর সাবেক সহকারী শিক্ষক আবুল হাসনাত মো. কামরুজ্জামান মুকুল (৪৬)। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ধরা পড়লেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে।

১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-১১। মামলাটির বাদী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।

অভিযুক্ত আবুল হাসনাত মো. কামরুজ্জামান রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি জোতকার্তিক এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় বসবাস করেন তিনি। মো. কামরুজ্জামান চারঘাটের জোতকার্তিক বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলাটির বাদী আমির হোসাইন। তিনি বলেন, সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীতে সনদ বাণিজ্য করে এক দশকে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ ছিল।

অনুসন্ধান শেষে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত বছরের ৪ জানুয়ারি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ওই শিক্ষক উল্লেখ করেন, তার নামে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

কিন্তু তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ে গিয়ে ওই শিক্ষকের নামে ১ কোটি ৭২ লাখ ১২ হাজার ৪৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫০২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ পায় দুদক।

১ কোটি ৫১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন ওই শিক্ষক। তিনি অসদুদ্দেশ্যে গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে, মো. কামরুজ্জামান মুকুলের আয়কর নথি ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র অনুযায়ী তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ২ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৯ টাকা। তবে ঋণ পাওয়া যায় ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৯৯ টাকা। ঋণ বাদে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ২ কোটি ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকা।

যদিও ওই শিক্ষকের বৈধ আয় ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭২ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৬ টাকা বাদে তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ মাত্র ১৬ লাখ ২১ হাজার ৫৬৬ টাকা। তার ১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এদিকে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একই অপরাধে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019