২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ বশির আহাম্মেদ
চিপ রিপোর্টার
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়নের মধ্যম মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রধান শিক্ষক মরিয়া হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুত্রে জানাযায় গত ১৭ আগস্ট বুধবার স্কুল চলাকালী ওই ছাত্রী তৃতীয় পিরিয়ড শেষে কমনরুমে গেলে অভিযুক্ত ২ ছাত্র আরিফ ও তার সহযোগী আদিল কমন রুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল ঘষি ও লাথি মেরে পরিধেয় কাপড়চোপড় ধরে টানাহেঁচড়া করেন, ছাত্রীর ডাক চিৎকার শুনে তার সহপাঠীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অভিভাবকদের কাছে তুলেদেন এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দিলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান ছাত্রের পরিবার প্রভাবশালী হাওয়া ঐ ছাত্রীর পরিবারকে নয় ছয় বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দুই বখাটে ছাত্রের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছেন। বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষার্থী ও এলাকায় জানাজানি হলে বখাটে আরিফের পিতা শাহাদাত খাঁন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন মহল থেকে ভয়-ভীতি ও হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগ ছাত্রীর বাবা সবুর খান বলেন, এ বিষয়টি তিনি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে তাকে চুপ থাকতে বলেন এবং প্রধান শিক্ষক শালিশ মীমাংসা করেদিবেন বলেও জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক (২০ আগস্ট) শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে এক নাটকীয় মিটিং করেন। তিনি ঐ মিটিংয়ে একটি সাদা কাগজে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার লিখে স্বাক্ষর না দিয়ে শুধু সিল ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তেমন কিছু ঘটেনি। তবে ছাত্রীর সাথে খারাপ আচরণের কারণে আমরা শিক্ষকরা আলোচনার মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি অভিযুক্ত ছাত্রের পক্ষ নেয়ার বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি গাড়িতে আছেন পরে কথা হবে পরবর্তীতে তাকে একাধিক বার ফোন দিলে-ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র ছাত্রী জানান, বখাটে আরিফের বাবা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। বখাটে আরিফ ও তার বাবার ভয়ের কারণে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিতেও ভয় পাচ্ছেন। এবিষয়ে উপজেলার মাধ্যমিক কর্মকর্তা আকমাল হোসেন সংবাদ মাধ্যম কে জানান আমি বিষয় টি অবহিত অবহিত হয়েছি প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ মতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন জানান আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।