২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ তেঁতুলিয়ায় পুলিশের চাকরি দেয়া সহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ বিধা দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ায় অভিযোগ উঠেছে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার গাড়ি চালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম খাঁন। চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণ করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশের রংপুর সার্কেল এসপি জাহিদ চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানায় তদন্ত করেন। এসম অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের জবানবন্দী নেন।
জানাযায়, গাড়ি চালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকার থানার পরিচ্ছন্ন কর্মী ভজনপুর ইউনিয়নের ভদ্রেশ্বর গ্রামের নাজির হোসেনকে পুলিশে চাকরি দেয়ার লোভ দেখায়। এতে থানার পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজিরের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরি না পেয়ে কনস্টেবল জুয়েল খন্দকারের কাছে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু টাকা ফেরত না পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজির। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুয়েলকে প্রথমে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করা হয়। পরে তাকে রংপুর সার্কেল অফিসে রাখা হয়েছে।
অভিযোগকারী নাজির হোসেন বলেন, গাড়ি চালক জুয়েল খন্দকার প্রায় সময় পুলিশে চাকরি নিয়ে দিবে বলে আমাকে লোভ দেখাত। বিষয়টি তেমন ভাবে কান দেই নি। হঠাৎ একদিন বলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারসহ উপর মহলের সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখিয়ে কাগজপত্র চেয়ে ৭০ হাজার টাকা নেন প্রথমে। এ ভাবে পর্যায়ক্রমে আমার কাছ থেকে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা সে হাতিয়ে নেন। হঠাৎ এক আমার চাকরি হয়েছে বলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাঝ রাস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। আমার সাথে এহেন প্রতারনা করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানাযায়, পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে থানায় কর্মরত বাবুর্চি বিলকিস বেগমের কাছে ১৮ হাজার টাকা, সরকারি রেশন দেয়ার নামে ভজনপুর বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী সুবলের কাছ থেকে ২৫ হাজার ২০০ টাকা, মোবাইল ব্যবসায়ী জিয়ার কাছ থেকে তার বাবার অসুস্থ্যতার কথা বলে ১০ হাজার ২০০ টাকা, শালবাহান রোডের এক বাঁশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকাসহ আরও বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জুয়েলের বিরুদ্ধে।
এব্যপারে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম খাঁন বলেন, গাড়ি চালক জুয়েল খন্দকারকে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করে রংপুর সার্কেল অফিসে রাখা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রংপুর সার্কেল এসপি তদন্ত করছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সকল প্রসেসিং-এর মাধ্যমে তার চাকরিও চলে যেতে পারে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজির ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার কথা বললেও কনস্টেবল জুয়েল খন্দকার ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা কথা শিকার করেছেন।