২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
সিলেটে টিকা নিতে মানুষের ঢল

সিলেটে টিকা নিতে মানুষের ঢল

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে শনিবার দিন ব্যাপী মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো ছিলো। সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এদিন শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর ও নাম-ঠিকানা লিখে দেওয়াা হচ্ছে টিকা। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্ট লাগছে না। প্রয়োজন হয়নি রেজিস্ট্রেশনের।
শনিবার সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন ঠিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, গণটিকা গ্রহণ করতে ভিড় করেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। টিকা কেন্দ্রের বাইরের চত্বরেও ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এর আগে ওসমানী হাসপাতালে এতো মানুষের ভিড় এর আগে কোন দিন দেখিনি সিলেটের মানুষ। হাসপাতাল চত্বরে যেন পা ফেলার জায়গা মিলছিল না। দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষকে টিকা নিতে হয়েছে। এসময় শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা নিয়েও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার সিটি করপোরেশন এলাকাসহ পুরো সিলেট বিভাগে ৭ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এক হাজার ৫শ’ কেন্দ্রের মাধ্যমে শুরু হয়েছে টিকাদান।
সিলেট নগরীর ৯৬টি কেন্দ্রে শনিবার টিকা দেয়া শুরু হয়। তবে সকাল থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক কেন্দ্র গুলোতে তুলনামুলক মানুষের কম ভিড় দেখা গেছে। যারা ওয়ার্ড ভিত্তিক কেন্দ্র গুলোতে টিকা দিয়েছেন তারা অনেকটা স্বস্তিতেই দিয়েছেন। কম ভিড় থাকায় খুব বেশি সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। টিকা প্রদানের ব্যবস্থাপনা নিয়েও তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে সকাল থেকে ছিল উপচেপড়া ভিড়। হাসপাতারের সামনের নতুন আউটডোর বিল্ডিংয়ের টিকাকেন্দ্র থেকে শুরু করে সামনের চত্বর পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। হাজার-হাজার মানুষকে টিকা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেকে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অধৈর্য্য হয়ে ফিরে যেতেও দেখা গেছে। অনেকে আবার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে লাইন ভেঙ্গে অনেককে টিকা দেয়ার। নানা কারণে যারা এতোদিন টিকা নিতে অনাগ্রহী ছিলেন গণটিকা কর্মসূচিতে সহজে সে সব লোক টিকা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019