২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
স্বামী দলীয় প্রার্থী, স্ত্রী বিদ্রোহী : দলের স্বার্থে ভাঙছে বিয়ে

স্বামী দলীয় প্রার্থী, স্ত্রী বিদ্রোহী : দলের স্বার্থে ভাঙছে বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক

ঘটনাটি ওপার বাংলার দক্ষিণ দমদমের। সেখানে পৌর নির্বাচনে স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরী দলের হয়ে তৃণমূলের প্রার্থী। স্ত্রী রীতা রায় চৌধুরীও তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তবে তার নাম প্রথমে প্রার্থী তালিকায় থাকলেও পরে বাদ পড়ে।

তাই ভোটে লড়তে স্ত্রী দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে। দল থেকে স্ত্রীর টিকিট না পাওয়ার এই দুঃখেই দাম্পত্যে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন স্বামী।
জানা গেছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুরজিৎ রায় চৌধুরী বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, দলের স্বার্থে তিনি তার স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্ত্রী, ন’নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রীতা রায় চৌধুরী।

তিনি জানান, এটি তার পারিবারিক বিষয়। নির্বাচনের পরে যা বলার বলবেন। তবে নোটিস পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সরগরম স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।

ঘটনাচক্রে দক্ষিণ দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বার নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। পারিবারিক ভাঙনের বিষয়ে বিরোধীদের অবশ্য দাবি, আদৌ এমন কিছু ঘটেছে কি না, তা জানা প্রয়োজন। ঘটলে তা অনভিপ্রেত। সুরজিতের পুরনো ওয়ার্ড ন’নম্বর। সেখানে প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রীতার নাম থাকলেও পরে প্রার্থী হন টুম্পা দাস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ন’নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে নির্দল প্রার্থীরই হোর্ডিং, ব্যানার রয়েছে। জোর প্রচার চলছে। তুলনায় তৃণমূল প্রচারে বরং কিছুটা পিছিয়ে। এই নিয়ে নানা জল্পনা ঘুরছে স্থানীয় মহলে।
এর পরেই বৃহস্পতিবার সুরজিৎ মুখ খোলেন। তাকে দাবি করতে শোনা যায়, ভোটে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ন’নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। স্ত্রীর নেতৃত্বে বিধানসভায় তৃণমূল ওই ওয়ার্ড থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এর পরেই তাঁর দাবি, অনেকেই বলছেন স্বামী-স্ত্রীকে টিকিট দেওয়া যাবে না। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা, বারাসত, গারুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। এই দু’রকম বিচারে ভুগতে হল। দলের স্বার্থে পরিবারকে ছাড়তে হল। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সুরজিৎকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। যোগাযোগ করা যায়নি রীতার সঙ্গেও।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019