২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ মেডিকেল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) ২৯তম ব্যাচের মাত্র একজন প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ করতেন। তিনি ডা. বিজয় কুমার পাল। এরপরের ব্যাচেও কোনো ছাত্রলীগের দেখা মেলেনি। ৩১তম ব্যাচের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন।

কিন্তু ৯৪ সালে মমেকের ৩০তম ব্যাচের কোনো মুখই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।
এমন তথ্যই দিয়েছেন ৯৮’র মমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিজয় কুমার পাল। আর এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল ওয়াহাব সরকার বাদল। আর বাদল-বিজয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বর্তমান সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

পরবর্তীতে ২০০০ সালে ডা. মুরাদ হন মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি।
তবে তৎকালীন ছাত্রলীগের একাধিক নেতৃস্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুরাদ হাসান বিএনপির শাসনামলে (১৯৯৪) মমেকে ভর্তি হন। মমেক শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের পদও বাগিয়েছিলেন। অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতেই বিএনপির শাসনামল অতিবাহিত করেন মুরাদ।

পরবর্তীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
জানা যায়, বাদল-বিজয় কমিটিতে ডা. মুরাদকে পদ দিতে চাননি ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি মির্জা খালিদ আল আব্বাসও চাননি মুরাদ ছাত্রলীগের কমিটিতে আসুক। অপরদিকে অন্য একটি গ্রুপ মুরাদকে ছাত্রলীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশ করানোর জন্য জোর ভূমিকা রাখে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. বিজয় কুমার পাল বলেন, ডা. মুরাদের পিতা ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

উনি বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। মুরাদকে পদে আনতে চারদিক থেকে আমাদের চাপ ছিল। অনেকটা বাধ্য হয়ে আমরা তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছি।
ডা. মুরাদের এক ব্যাচ সিনিয়র ও ৯৮’র মমেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইসহাক অনেকটা আক্ষেপের সুরেই জানান, বর্তমান তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান আদর্শচ্যুত হয়ে ছাত্রলীগের পদ বাগিয়েছেন তার পিতার জোরে। মুরাদ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থাতেই ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই আমলেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।

তিনি আরও জানান, মুরাদ হাসান ৯৫ সালে মমেক শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এর এক বছর পর আমরা মেডিকেল কলেজ ছাড়তে বাধ্য হলেও তিনি এক পদ থেকে আরেক পদে চলে যান। পার্থক্য শুধু দল আর আদর্শের।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019