২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন নবী দুলাল মাস্টারের দুই স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে তার প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী দুলাল স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে তিনি গত ছয় মাস আগে ১২ বছর চাকরি থাকতেও অবসর নেন। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পরে তিনি ও তার দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। পরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নুরুন নবী বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন নবী এলাকায় জনপ্রিয় নেতা বলে চাকরি ছেড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ও কাগজপত্র যাচাই- বাছাই নিয়ে সংশয় থাকায় তিনি নিজে ও দুই স্ত্রীকে দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করান। কেননা তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করলে বহিষ্কার হতে পারেন। তাছাড়া কাগজপত্র জটিলতায় তিনি সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে নিজে নির্বাচন না করে স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন। তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, স্বামীর সাথে মনোমালিন্য ও দুই সতীনের মধ্যে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ফেরদৌসী বেগম ও নাসিমা খাতুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন নবী বলেন, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি। যাতে পরিবারের কেউ একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারি। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ বলেই ভেবেচিন্তে কাজটি করেছি।