২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগ ও দামুড়হুদা ৫টি ইউনিয়ন ৩টি আওয়ামী লীগ ২ টি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

চুয়াডাঙ্গার জীবননগ ও দামুড়হুদা ৫টি ইউনিয়ন ৩টি আওয়ামী লীগ ২ টি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

আজকের ক্রাইম ডেক্স
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে সংবাদ সম্মেলন করে দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
ব্যালট পেপারে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল ৮টার আগে থেকেই বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এরমধ্যে নারী ভোটার সংখ্যাই বেশি ছিল। ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতিটি কেন্দ্রর ফলাফল আসতে শুরু করে। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দামুড়হুদার চারটি নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জীবননগর উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফলাফলও দেওয়া হয়।
দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৬ হাজার ৯০ ভোট। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হযরত আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল আলম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৩১ ভোট। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম (আনারস) ১৮ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান ভুট্টো পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৩৯ ভোট। কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল উদ্দিন (মোটরসাইকেল) ৮ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সরফরাজ উদ্দিন (আনারস) পেয়েছেন ৬ হাজার ৬০৯ ভোট।
এদিকে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইসাবুল ইসলাম মিল্টন ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ (হাতপাখা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬৭ ভোট। ৫টি ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এসময় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা সার্কেল মুন্না বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ডিবির চৌকস ঈগল-১ টিম, বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত রোবকাপ টিম, কুইক রিসপন্স টিম, ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি ও আনসার, অঙ্গিভুত আনসার সদস্যরাও মোতায়েন ছিলো।
দামুড়হুদার কুড়ালগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম কুড়ালগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে মানিক উদ্দিন ও সালেহা পারভীন জানান, খুব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে, তবে ভোট দিতে পেরেছি।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সকাল থেকেই বিরতীহীনভাবে জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলতে থাকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটাররা কেন্দ্রে যেয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। ভোট সুষ্ঠ করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। ভোট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম, আনসার সদস্যরা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাশাপাশি ৩২জন মেম্বার ও ১৮জন সংরক্ষিত নারী মেম্বার প্রতিদ্বন্দিতা করে। এ নির্বাচনে ১০ কেন্দ্রের ৭০টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়। সীমান্ত ইউনিয়ন নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৫০৪জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৬১৭জন এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৮৭জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রাথী ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. সাইফুল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৭৭ ভোট। এছাড়া ১নং ওর্য়াডে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৫৪। তাঁর নিকটতম প্রার্থী শামীম রেজা ৬৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২নং ওর্য়াডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন-মোঃ আরিফ হোসেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৩৫। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুস সামাদ ৭০৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৩নং ওর্য়াড সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম তেতুল। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৫০। তার নিকটতম প্রার্থী ইমাদ আলী ৭০৯ভোট পেয়ে পরাজয় লাভ করেন। ৪নং ওর্য়াড মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল আলীম। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৮৯। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাস। ৬৩৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৫নং ওর্য়াডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরজাম হোসেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১৮২। তার নিকটতম প্রার্থী নুর হোসেন ৯৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৬নং ওর্য়াডর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরিফ হোসেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯৫৯। তার নিকটতম প্রার্থী শামীম মিয়া ৫২৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৭নং ওর্য়াড সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক আলী। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭০৩। তাঁর নিকটতম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৬১৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ৮নং ওর্য়াড সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৪৪। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মইন উদ্দিন ৭৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। ৯নং ওর্য়াড সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৫৭১। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ৪৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১নং ওর্য়াডে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. শাহিনা খাতুন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২০৭৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোছা. নাসরিন আক্তার ১৫২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। ২নং ওর্য়াডে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ফুলছুরাতন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২২৭৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭৪৮ ভোট পেয়েছেন, ৩নং ওর্য়াডে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. সুফিয়া খাতুন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৫৭১। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোছা. রহিমা খাতুন ১২৬৩ ভোট পেয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019