২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ঘুষ না দেওয়ায় ৭৫ দিন মর্গে পড়ে রইল করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহ।

ঘুষ না দেওয়ায় ৭৫ দিন মর্গে পড়ে রইল করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহ।

অনলাইন ডেস্ক

করোনার (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা ভারত। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে জারি ছিল মৃত্যুমিছিল। যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে তো একাধিক গাফিলতির অভিযোগও উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার আরও মারাত্মক ঘটনার কথা সামনে এলো।

চিকিৎসককে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো না কোভিডে মৃত ব্যক্তির দেহ। ৭৫ দিন হাসপাতালের মর্গেই পড়ে রইল তা। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও শেষ পাওয়া খবরে, বিতর্কের পরই ওই ব্যক্তির সৎকার করেছে হাপুর প্রশাসন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেশ নামে বাস্তি জেলার এক বাসিন্দা গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য হাপুরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে মেরঠের লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই গত ১৫ এপ্রিল তিনি মারা যান।

স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বাস্তি থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে মেরঠে আসেন নরেশের স্ত্রী গুড়িয়া। কিন্তু স্বামীর দেহ নিতে গিয়েই বিপাকে পড়েন। গুড়িয়ার অভিযোগ এরপর ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তার কাছে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। কিন্তু গরিব পরিবার হওয়ায় গুড়িয়া সেই টাকা দিতে পারেননি। এরপরই বাড়ি ফিরে আসেন।
এদিকে, ঘটনার পর ৭৫ দিন কেটে গেলেও নরেশের দেহ জিএস কলেজের মর্গেই পড়েছিল। শেষপর্যন্ত একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। জানা গেছে, সম্প্রতি নরেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে হাপুর প্রশাসনের তরফে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবারের কেউ দেহ নিতে না আসার কারণেই সেটি মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশকে ওই পরিবারের খোঁজ করতেও বলা হয়। সেই মতোই নাকি নরেশের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। যদিও ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন হাসপাতালে দেহ পড়ে থাকলেও, কয়েকদিন আগেই পুলিশের তরফ থেকে তার কাছে ফোন এসেছিল। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাই রীতিমতো বিপাকে যোগী প্রশাসন। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019