২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
জামালপুরে মাদক মামলা বিচারাধীন নৌকা মনোনয়ন চান আব্দুস সালাম।

জামালপুরে মাদক মামলা বিচারাধীন নৌকা মনোনয়ন চান আব্দুস সালাম।

জামালপুর প্রতিনিধি –
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুদারু ও মাদক ব্যবসায়ী,আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী আব্দুস সালাম আওয়ামীলীগ থেকে কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন । এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল এবং আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ থেকে হারুন – সালাম পরিষদে জিএস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জোর করে ভোট নিয়ে জিএস নির্বাচিত হয় শুয়াকৈর গ্রামের মরহুম মনির উদ্দিনের পুত্র আব্দুস সালাম। এর পর এলাকায় তার গুন্ডামী, মাস্তানি, চাঁদাবাজি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। সে সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীদের জীবন জীবিকা, স্বাভাবিক চলাফেরা ছালাম জিএস এর জন্য মারাত্মক হুমকির মুখে ছিল। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন – সংগ্রামে অংশ গ্রহণকারী আওয়ামী, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দের শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন, পুলিশ দিয়ে হয়রানী করার ইতিহাস এখনো মানুষ ভুলে যায়নি। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করেন । ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর আঞ্চলিকতার অজুহাতে যুবলীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে। সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল মালেক সাহেরের ভাতিজা মিজানুর রহমান মিজু যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হলে, তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে সন্মেলন স্হলে যেতে না দিয়ে ছালাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হয়ে যায়। তার ভাই সুলতান সরিষাবাড়ী কলেজের এজিএস পদ পায়। দুই ভাইয়ের পুরনো রুপে আবির্ভূত হয়। আবারো সন্ত্রাস, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি জমি দখল,সুদে টাকা লাগানো, শালিশ দরবারের নামে ঘুষ নিয়ে সিদ্ধান্ত এক পক্ষে মানতে বাধ্য করা। সুদে টাকা আদায়ের জন্য ১৯৯৭ সালে একই গ্রামের মৃত ময়েজ মন্ডলের ছেলে মৃত নুরুল ইসলামকে গলায় গামছা বেধে গ্রামের মাঝে ঘুড়ানোর পাশাপাশি মারধর করার প্রতিবাদ করায় তার ভাই আওয়ামী পরিবারের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলতাফ হোসেনকেও একই রকম শাস্তি ভোগ করতে হয়।২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ইউনিয়ন যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তার ভাই সুলতানের সহযোগিতায় সালাম এরপর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চালিয়ে যায় রমরমা মাদক ও সুদের ব্যবসা। পরে জরুরী আইন আসলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ান। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবার এলাকায় উপস্থিত হয়ে চরমভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়। ২০১১ সালে বাউশী এসকে এন্টার প্রাইজের সামনে থেকে ৪২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আঃ সালামকে গ্রেফতার করে জামালপুর র‍্যাব। র‍্যাবের ডিএডি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে শিমলা পল্লী সামারু চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী লক্ষন দাস কালু, শুয়াকৈর গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে আঃ সালাম এর বিরুদ্ধে ধারা-২৫-B ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৮ তারিখ,১৯-২-২০১১,। এই ঘটনায় যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হয়। দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে এসে কিছুদিন মাদক ব্যবসা বন্ধ রাখলেও সুদের ব্যবসা চালিয়েছে প্রতিনিয়ত। বিএনপির জালাও পোড়াও আন্দোলনের সময় নীরব ভুমিকা পালন করলেও বিভিন্ন নেতার দোয়া থাকায় পদ পায় সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এরপর থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরিষাবাড়ীতে শুরু করে দালালী ব্যবসা । এদিকে চর জামিরা ও চর আদ্রায় পিলার বসিয়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের নামে ৫ লক্ষ টাকা , শুয়াকুর গ্রামে ট্রান্সমিটার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা, প্রতি বছর ইরি মৌসুমে লাইন সংযোগ দিয়ে প্রতি মটর মালিকদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে ২০ মালিকের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন । সুদের টাকা আদায়ের জন্য চর হেলেঞ্চাবাড়ি গ্রামের বাঘা বাড়ির ছালাম ও সামাদকে ধরে এনে বাড়িতে বেধে রেখে শারিরীক নির্যাতন করে আসল ও লাভের অর্থ আদায় করে । বাঘা বাড়ির ফজলের কাছে তিন লাখ টাকা সুদে লাগিয়ে বিভিন্ন হুমকি ও মারধর করে বারো লাখ টাকা আদায় করে। তার চাচাত ভাইদের জমি জোরপুর্বক দখল করে চাষাবাদ করে আসছে। বর্তমানে পৌর এলাকার শিমলা বাজারে তাদের সুদের ব্যবসা চলমান রয়েছে বলে গোপন সুত্রে জানা যায় । এদিকে সালামের মামলাটি জামালপুর কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ৭-৪-২০২১ মামলাটির হাজিরার তারিখ রয়েছে বলে জামালপুর কোর্টে খোজ নিয়ে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার সত্যে একাধিক ব্যক্তি জানায় , সালাম জি এস নির্বাচিত হওয়ার পর তার বর্তমান স্ত্রীকে কলেজ থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছিলেন। জাতীয় পার্টি সময় সুবিধা আদায়, বিএনপির সময় টাকা লাগানো(সুদ)-মাদক ব্যবসা শুরু করে । তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। সুদে টাকার জন্য অনেককেই মারধর করে জমি বিক্রি করিয়ে ৩ গুন টাকা আদায় করেছে। ফেনসিডিল সহ ১১ সালে গ্রেফতারও হয়েছেন। শেখ হাসিনার নিকট আমাদের অনুরোধ সুবিধাভোগী এই ব্যক্তিকে যেন নৌকা প্রতিক না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
কথা হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, সালাম ২০১১ সালে মাদক সহ গ্রেফতার হওয়ায় সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা বিভাগ ও তার ব্যক্তিগত সংস্থা দিয়ে গোপন খোজ নিয়ে যাকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিবে সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019