২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নারকেল গাছ প্রতিকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ঠিকাদার রফিকুল ইসলামসহ ৬ বিএনপি নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতরা হলেন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস মৃধা, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাসুম বিল্লাহ মনু,সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মৃধা,অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শফিকুল আলম জুয়েল। ১৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করা ও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলাসহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের এ বহিস্কার করা ও অব্যহতি দেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বানারীপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আহসান কবির নান্না হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক আ. সালাম সাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। এদের মধ্যে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থক এক কাউন্সিলরের সখ্যতা গড়ে ঠিকাদারী লাইসেন্স ব্যবহার করে স্কুল,রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট সহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন সরকারি কাজ কব্জা করেন এবং বানারীপাড়া বন্দর বাজারে বেশ কয়েকটি ডিসিআর এর চান্দিনা ভিটি তার নামে-বেনামে নিয়ে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওই জনপ্রতিনিধির বাড়ির সামনে সম্পত্তি ক্রয় করে তিনি রাস্তা ও ড্রেনের একাংশ দখল করে আলিশান বহুতল বাড়ি নির্মাণ করেন। এদিকে ক্ষমতায় থেকেও যেখানে বহু নিবেদিত প্রাণ ত্যাগী ও নির্যাতিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বঞ্চিত ও অবহেলিত হয়ে অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন সেখানে একজন বিএনপি নেতা হয়ে রফিকুল ইসলাম কিভাবে কোটি কোটি টাকার সরকারি ঠিকাদারী কাজ করে রাতারাতি অঢেল বিত্ত-ভৈববের মালিক বনে গেলেন এনিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও প্রশ্ন রয়েছে। অপরদিকে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির মেয়র প্রার্থী রিয়াজ মৃধার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মনির হোসেনের পক্ষে নির্বাচন করায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে নিজ দলের ধানের শীষ প্রতিকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নারকেল গাছ প্রতিকে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় ভোট কেন্দ্রে তিনি শারিরীকভাবে লাঞ্চিতও হন। ###