২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
মোছাঃ আশা খাতুন (২৮), পিতা- আবু হানেফ, গ্রাম-খুলসিদাহ, থানা-কুমারখালী জেলা-কুষ্টিয়া এর সাথে অনুমান ১৫ বছর পূর্বে মোঃ হযরত আলী (৩৮), পিতা-মোঃ রিয়াজ উদ্দীন, সাং-এতিমখানা পাড়া (আশরাফুল ইসলাম এর বড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ১। আলিফ হোসেন (১২) ও ২। মোছাঃ জাসপিয়া খাতুন (২ বছর ৬ মাস) নামের ফুটফুটে দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন কারনে মোঃ হযরত আলী তার স্ত্রী আশা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে হযরত আলী আশা খাতুনকে শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আশা খাতুন স্বামীর দূর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে তার সন্তানদেরকে নিয়ে তারা পিতা-আবু হানেফ এর বাড়ীতে চলে যায়। মোঃ হযরত তার স্ত্রী ও সন্তানদের খোজ খবর নেওয়া ও ভরণ পোষন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আশা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও বিরোধ মিটেনি। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য মান্যবর পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নিকট আসেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র)/ মুহিদ হাসান ও “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ হযরত আলী তার স্ত্রী মোছাঃ আশা খাতুনকে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে মোছাঃ আশা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।