০৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
ভোটদানের প্রতি নাগরিকদের অনীহা রয়েছে। হয়তো দেশ উন্নত হওয়ার সাথে সাথে মানুষও ভোটদানে আগ্ৰহ হারিয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইসি সচিব মো. আলমগীর এ কথা বলেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে সচিব বলেন, ভালো নির্বাচন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হয়েছে। তবে দুটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, সে দুটি স্থগিত রয়েছে। অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। তবে আগের তুলনায় এই নির্বাচনে কম সহিংসতা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতিও কম।
ইসি সচিব বলেন, কোনো কোনো কেন্দ্র ৫০ থেকে ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনো কেন্দ্রে আবার ৫ ভাগ ভোটও পড়তে পারে।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপির অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগ করা হলে বিষয়টা ভেবে দেখা হবে, ভিডিও থাকলে ভালো হয়।
এদিকে খুন, দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভোট গ্রহণ স্থগিত, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে, বর্তমানে ভোট গণনা চলছে।
কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের জেরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষের খবর আসতে থাকে। বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়াও এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আরও পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবারের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভোটের দিন ঠিক করে কমিশন।