২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজাপুর প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় মো. আজিজুল হক মাসুদ (৩৮) হত্যার ঘটনায় বাবাসহ তার প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় নিহত আজিজুল হকের ছোট ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম সোহেল বাদী হয়ে প্রেমিকা সুমি ওরফে মায়া ও তার বাবাকে আসামি করে থানায় মামলা করেন, যার মামলা নম্বর ২১।
এর পর রাতেই পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামি স্কুলশিক্ষিকা নুরুন নাহার সুমি ওরফে মায়া ও তার বাবা মো. শহিদুল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।
তারা উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা বরিশাল সদরের চাঁদমারী এলাকার মাদ্রাসা সড়কের বাসিন্দা।
জানা যায়, সুমি ও নিহত আজিজুলের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুমি উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষিকা। এ কারণে তিনি হাজী মঞ্জিলের তিনতলার ছাদে একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
সুমির বাবা শহিদুল বিশ্বাস নৈকাঠি এলাকার শহিদুল ইসলামের ‘স’ মিলে কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ধোনাই এলাকার মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে আজিজুল হক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এলিফ্যান্ট রোডের ভাড়া বাসায় থেকে চাকরি করতেন। নুরুন নাহার সুমির পায়ের হাড় নষ্ট হয়ে যায়।
ওই পায়ের চিকিৎসার জন্য ছয় বছর ধরে ঢাকার সোহরায়ার্দী হাসপাতালে যাওয়া-আসার সুবাধে আজিজুলের সঙ্গে সুমির পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সুমির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষিকা পদে চাকরি হয়। এর পর সুমির বাবা রাজিব নামে এক যুবকের বিয়ে ঠিক করেন।
সুমির বিয়ে নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার সঙ্গে আজিজুলের মোবাইল ফোনে কথা হয়।
পরে সেদিন রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আজিজুল ঈগল পরিবহনের একটি বাসে রওনা হয়ে ২৭ নভেম্বর সকালে রাজাপুর উপজেলার হাইজ্যাক মোড়ে নামে এবং এলাকার হাজী মঞ্জিলের ৩য় তলায় ছাদে চিলিকোঠায় সুমির ভাড়া বাসায় ওঠে।
এ সময় হবু রাজিবকে নিয়ে সুমি ও আজিজুলের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ পর্যায়ে সুমি কৌশলে তিন তলার ছাদ থেকে আজিজুলকে নিচে ফেলে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।