২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বিপদে হাজী সেলিম, ফোন ধরছেন না কোনো আ’লীগ নেতা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

বিপদে হাজী সেলিম, ফোন ধরছেন না কোনো আ’লীগ নেতা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স:: রোববার রাতের ঘটনার পর হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার মীমাংসা করার জন্য দেন-দরবারও করেছেন। কিন্তু হাজী সেলিমের পাশে কেউ নেই। প্রথমবার হাজী সেলিমের ফোন কয়েকজন সিনিয়র নেতা ধরলেও এর পর তারা হাজী সেলিমের ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জানা গেছে, হাজী সেলিমের ছেলে বাড়াবাড়ি করেছে। আর এই ঘটনার দায় তারা নিতে চান না। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কাজেই এই বিষয়টা নিয়ে এখন হাজী সেলিমের প্রতি সহানুভূতি জানানোর কোন সুযোগ নেই।

গত রোববার সন্ধ্যায় হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য স্টিকার যুক্ত গাড়িটি কলাবাগান হয়ে যাচ্ছিল, এই সময় নৌ-বাহিনীর একজন কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার গাড়িটির ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেলে নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা ছাড়াও তার স্ত্রী ছিলেন। সে সময় হাজী সেলিমের ছেলে এবং তার দেহরক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে কোন রকম কথা-বার্তা ছাড়াই নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করে। নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা তার নিজের পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা বিরত হয়নি।

পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের গাড়ি এবং মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় যায়। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নীতি-নির্ধারণী মহল বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সেইসাথে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরই ওই নৌ কর্মকর্তার ওপর হামলা এবং হত্যাচেষ্টার মামলা দায়েরসহ গাড়ি চালককে আটক করে পুলিশ।

এই ঘটনা জানার পরই হাজী সেলিম বিভিন্ন মহলে দেন-দরবার এবং দৌড়াদৌড়ি করছেন। কিন্তু কেউই তাকে সহযোগিতা করছে না। আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় নিবে না। সে যেই হোক না কেন, অপকর্মকারীর পাশে আওয়ামী লীগ নেই। এখন হাজী সেলিম তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করলেও কেউ তার পাশে দাঁড়াচ্ছে না এবং কেউ তাকে সহযোগিতাও করছে না। বরং তারা এই বিষয়টি নিয়ে দেন-দরবার না করার জন্য হাজী সেলিমকে পরামর্শ দিয়েছেন।’

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019