২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক:: করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে গিয়ে থেমে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার জীবনযাত্রা। দেশটিতে মাত্র ৯০০ জন আক্রান্ত হলেও নিরাপত্তা জোরদার করায় থেমে গেছে সব। কুয়ালালামপুর, পুত্রাজায়া, লাংকাউইর মতো স্থানগুলোতে থেমে গেছে কোলাহল। এমনকি মালয় গ্রামগুলোতেও নেই কলরব।
মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নির্দেশ অনুযায়ী দেশটিতে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতা। আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে তা। কিন্তু তারপরও মালয়েশিয়ায় যে কোলাহল ছিল, তার ছিটেফোঁটাও নেই। ভোর ৫টা থেকে মায়ল নারীরা নিজেদের কাজে চলে যেতেন, পুরুষরা নিজ নিজ সময়ে কর্মক্ষেত্রে চলে যান। অথচ বর্তমান মালয়েশিয়াকে দেখলে মনে হবে যেন ঘুমের নগরী।
দেশটিতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা এই প্রবাসীরা এখন সেখানে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে এদিকে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘মানুষের নিরাপত্তার বৃদ্ধিতে আমরা সেনাবাহিনী নামাতে পারি। কারণ, কাজের ক্ষেত্র বাদ দিয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ মানুষকে আমরা ঘরে রাখতে পারছি। এটা যেন ৮০ শতাংশে বৃদ্ধি পায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। করোনাভাইরাস যেন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, আমাদের সে চেষ্টাও রয়েছে।’
মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানুষের চলাচলের ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা বলবৎ থাকবে। নাগরিকরা তা যথাযথভাবে কার্যকর করবে। জন্য শুধু মৌলিক চাহিদা পূরণ ছাড়া সবাইকে ঘরের মধ্যে থাকার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।
দেশটিতে হঠাৎ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেশটিতে মাত্র ৯০০। তবুও জনভীতি সামাল দিতে সরকার সেনা বাহিনী নামানোর চিন্তা করছে।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জন, বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন।