২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বাংলার ঐতিহ্য মেজবান, হারিয়েগেছে কলাপাতা,

বাংলার ঐতিহ্য মেজবান, হারিয়েগেছে কলাপাতা,

মৃধা জুয়েল///
আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্য মেজবান, কুলখানি, কাঙ্গালীভোজ অথবা জিয়াফত অনুষ্ঠান। সময়ের পরিবর্তনের সাথে বদলে গেছে অনেক কিছু। এক সময় মেজবানী অনুষ্ঠানে বসার জন্য হোগল পাতা এবং কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করা হতো। রাখা হতো মাটির পাত্রে সব কিছুই ছিল একদম প্রাকৃতিক। এখন অধুনিকতার ছোয়ায় প্লাষ্টিকের পাত্র চলে এসেছে। বসার জন্য বিছানো হচ্ছে চট। মৃত্যু ব্যাক্তির নামে নিদ্রষ্ট সময় পরে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে আত্মিয়-স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে যে ভোজের আয়োজন করা হয় তাকেই মেজবান বলে। উপরোক্ত পরিবর্তনের সাথে আরো কিছু পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন ছিল। যেমন প্রতি ২০ জনের জন্য এক মালসা (বাটি) গোষ্ত সত্যিকার অর্থেই খুবই কম পরিমান। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষ ছিল দারিদ্র বর্তমানে দারিদ্রতা নেই। তাই গোস্তের পরিমানটা বাড়ানো সময়ের দাবী। এত আয়োজন ঘটা করে যখন প্লেটে মাত্র দুই টুকরো গোষ্ট দেয়া হয়, সময়ের সাথে সেটা সত্যিই বেমানান।
অপরদিকে আমাদের খাবার গ্রহনের মুল উপাদান পানি, কিন্তু এই মেজবানী অনুষ্ঠানে পানির আয়োজনটা থাকে দায়সারা। ছোট্ট শিশুদের দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের জন্য মাত্র কয়েকটি জগ ও গ্লাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এক্ষেত্রে কেহ পানি পায় আবার কেহ চোখেই দেখেনা। আয়োজোকদের এই পানির বিষয়ে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। এমনও হয়েছে যে গোস্ত গলায় আটকে মৃত্যু হওয়ার মতো ঘটনা। পরিবর্তন আসুক খাবারে। ফিরে আসুক হারানো ঐতিহ্য কলাপাতা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019