মৃধা জুয়েল///
আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্য মেজবান, কুলখানি, কাঙ্গালীভোজ অথবা জিয়াফত অনুষ্ঠান। সময়ের পরিবর্তনের সাথে বদলে গেছে অনেক কিছু। এক সময় মেজবানী অনুষ্ঠানে বসার জন্য হোগল পাতা এবং কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করা হতো। রাখা হতো মাটির পাত্রে সব কিছুই ছিল একদম প্রাকৃতিক। এখন অধুনিকতার ছোয়ায় প্লাষ্টিকের পাত্র চলে এসেছে। বসার জন্য বিছানো হচ্ছে চট। মৃত্যু ব্যাক্তির নামে নিদ্রষ্ট সময় পরে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে আত্মিয়-স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে যে ভোজের আয়োজন করা হয় তাকেই মেজবান বলে। উপরোক্ত পরিবর্তনের সাথে আরো কিছু পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন ছিল। যেমন প্রতি ২০ জনের জন্য এক মালসা (বাটি) গোষ্ত সত্যিকার অর্থেই খুবই কম পরিমান। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষ ছিল দারিদ্র বর্তমানে দারিদ্রতা নেই। তাই গোস্তের পরিমানটা বাড়ানো সময়ের দাবী। এত আয়োজন ঘটা করে যখন প্লেটে মাত্র দুই টুকরো গোষ্ট দেয়া হয়, সময়ের সাথে সেটা সত্যিই বেমানান।
অপরদিকে আমাদের খাবার গ্রহনের মুল উপাদান পানি, কিন্তু এই মেজবানী অনুষ্ঠানে পানির আয়োজনটা থাকে দায়সারা। ছোট্ট শিশুদের দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের জন্য মাত্র কয়েকটি জগ ও গ্লাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এক্ষেত্রে কেহ পানি পায় আবার কেহ চোখেই দেখেনা। আয়োজোকদের এই পানির বিষয়ে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। এমনও হয়েছে যে গোস্ত গলায় আটকে মৃত্যু হওয়ার মতো ঘটনা। পরিবর্তন আসুক খাবারে। ফিরে আসুক হারানো ঐতিহ্য কলাপাতা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ বেল্লাল তালুকদার
প্রধান কার্যালয় ফ্লাট#এ ৫ ট্রফিকাল হোম ৫৫/৫৬ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন রোড মগবাজার রমনা ঢাকা-১২১৭
মোবাইল নং- 01712573978
ই-মেইল:- ajkercrimenews@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের ক্রাইম নিউজ. All rights reserved.