২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
থেকে পড়াশুনা শেষ করে এসে পারভীনের পরকীয়ার সোলাইমান

থেকে পড়াশুনা শেষ করে এসে পারভীনের পরকীয়ার সোলাইমান

মোঃ মোক্তারুজ্জামান/মোঃ আব্দুল কুদ্দুস/আমিনুল ইসলাম::-

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পারভীন আক্তার ও তার শিশুপুত্র খুনের ঘটনায় পারভীনের দেবর সোলাইমান হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গত বুধবার গভীর রাতে সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসি মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার ও তার ছয় বছরের ছেলে নুর হোসেন তাদের দুতলা ফ্ল্যাট বাসায় খুন হন। সকালে পুলিশ তাদের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৯ এর বিচারক জান্নাতুল রাফিন সুলতানের কাছে সোলাইমান হোসেন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে সোলাইমানকে রাতেই আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সোলাইমান হোসেন খুনের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী সোলাইমান হোসেনের সাথে তার মেজো ভাই মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীনের পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে আসে। এরপর পারভীনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পারভীন সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সোলাইমান হোসেন পারভীনের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে পারভীন আক্তার সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
সোলাইমান দুই ভাতিজা আব্দুল করিম ৯ ও আব্দুল নুরের ৫ কথা চিন্তা করে বিয়ের জন্য রাজি হননি। বিয়েতে রাজি না হওয়াতে পারভীন আক্তার তার নিজের দুই ছেলে স্বামী ও সোলাইমানকে হত্যার হুমকি দেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সোলাইমান ঘরে থাকা ধারাল চাকু দিয়ে পারভীনের গলায় আঘাত করে। ভাতিজা আব্দুল নুর জেগে উঠলে তাকেও চাকু দিয়ে হত্যা করে সোলাইমান এবং রক্তমাখা চাকু ও তার পরিহিত কাপড় ধুয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে সোলাইমানের বাবা ক্বারী আব্দুল রহমান দাবি করেন পুলিশ সোলাইমানকে ফাঁসানোর জন্য ধরে নিয়ে গেছে। তার সাথে আমার পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেয় না বলে দাবি করেন তিনি। বাড়িতে বহিরাগত কেই আসে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন মাঝে মধ্যে অপরিচিত একাধিক ছেলে আসত বৌমার কাছে। কিন্তু তাদের আমি চিনি না। তবে ক্বারী আব্দুল রহমানের স্ত্রী রোমেনা বেগম বলেন আমার ছেলের বৌ পর্দা করে থাকত। সে হাত পায়ে মোজা পরে বাইরে বের হতো। আত্মীয়-স্বজন ছাড়া আমার বাড়িতে কেউ আসতো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবুল কালাম বলেন সাটুরিয়াতে মা-ছেলে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় হত্যাকাণ্ডের সাথে সোলাইমান জড়িত। তাকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে সোলাইমান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই ঘটনায় নিহত পারভীনের মা মজিরন বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশ জোড়া খুনের আলামত সংগ্রহ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মা ও ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019