২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
র্যাব-৮, বরিশাল এর অভিযানে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ০৫ ভূয়া ডাক্তার আটক।
এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন যাবৎ পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানধীন ভান্ডারিয়া পৌরসভা এলাকায় কয়েকজন ভূয়া ডাক্তার লোকজনকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এমন সংবাদ প্রাপ্তিতে র্যাব-৮, বরিশালের একটি আভিযানিক দল ঐ এলাকায় মোঃ ইয়াসিন খন্দকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিরোজপুর ও ডাঃ মোঃ এ.আইচ.এম. ফাহাদ, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভান্ডারিয়া এর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এবং হাতেনাতে শামীম আকন, জনতা ডেন্টাল কেয়ারের মোঃ ফাইজুল হক রানা, মডার্ন ডেন্টাল কেয়ারের মোঃ বাবুল হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশ, জসিম উদ্দিন শাহীন ও শামীম আকনের ক্লিনিক ভবন মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদার’কে আটক করে। তারা সহজ সরল মানুষকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে আসছে যা খুবই বিপজ্জনক। তারা তাদের স্বপক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং মোবাইল কোর্টের সামনে তাদের দোষ স্বীকার করে। মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃত শামীম আকনকে বছরের জেল, মোঃ ফাইজুল হক রানাকে ৬ মাসের ,মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশকে ৬ মাসের, জসিম উদ্দিন শাহীনকে ৪ মাস ও মোঃ বাবুল হোসেনকে ২ মাস এবং আব্দুল কাদের হাওলাদারকে শামীম আকনকে বাসা ভাড়া দিয়ে উক্ত কাজে সহযোগিতা করার দায়ে ১৫,০০০/- টাকা জরিমানা করেন। ৫ জন ভূয়া ডাক্তারের ৫টি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। উল্লেখ্য শামীম আকন বহুদিন ধরে জাব দিয়ে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগানোর মত চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে সে গাছগাছালি ছাড়াও গরুর মূত্র চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইট দিয়ে ভাঙ্গা হাত বা পায়ে টানা দেয়। তার কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরেও সে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসা করে। তার ক্লিনিক থেকে ৫ জন রোগীকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। অন্য সব ভূয়া ডাক্তার অবৈধভাবে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন সন্তোষ প্রকাশ করেন।
র্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।