২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
মনোনয়ন না পেয়ে অঝোরে কাঁদছে সাঈদ খোকন।

মনোনয়ন না পেয়ে অঝোরে কাঁদছে সাঈদ খোকন।

মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি::-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডিএসসিসি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের মনোনয়ন পাওয়া-না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন আর কানাঘুষা শুরু হয় মূলত গেল বুধবার থেকে। ওইদিন বিকেলে আওয়ামী লীগের ধাণ্ডমন্ডি কার্যালয় থেকে হঠাৎ করেই মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নুর তাপস। এরপরই সাঈদ খোকনের থাকা না থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত তাপসের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দেয়া হয়।
গতকাল রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী দক্ষিণ সিটিতে দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে ফজলে নুর তাপসের নাম ঘোষণা করার পর অনেকটা স্বেচ্ছা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন সাঈদ খোকন।
মনোনয়ন না পেয়ে রবিবার নিজ বাসভবনে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, রাজনীতিতে অনেক কিছুই হয়। আপাতত নির্বাচন নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে মনোনয়ন না পেলেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চান না তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে সাঈদ খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের জন্য যেটা ভালো মনে করেন সেই সিদ্ধান্তই নেন। তাই আমিও ওনার এই সিদ্ধান্ত মেয়ে নিয়েছি। রাজনৈতিক জীবনের এই কঠিন সময়টাতে আপাতত বাসাবাড়িতেই কাটাতে চান বলেও জানান তিনি। বুধবার তাপস মনোনয়ন সংগ্রহ করার একদিন পরই বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেন সাঈদ খোকন। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আজকে রাজনীতিতে আমার জন্য একটু কঠিন সময় যাচ্ছে। এ কঠিন সময়ে প্রিয় দেশবাসী, ঢাকাবাসী আমার জন্য দোয়া করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিভাবক হিসেবে মান্য করার কথা জানিয়ে তখন তিনি আরও বলেন, আমার পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, পিতার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আজ পিতা নেই, পিতাকে হারিয়েছি। পিতার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আমার জন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন তিনি সেটাই করবেন।
গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা শহরের ইতিবাচক পরিবর্তনের দাবি করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি অনেক কাজ করেছি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। আমি যেন বাকি কাজগুলো শেষ করতে যেতে পারি। আজকে ঢাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং বলতে চাই আমি কখনও কর্তব্যে অবহেলা করিনি। আজকে এই কঠিন সময়ে দেশের মানুষ যদি আমার পাশে দাঁড়ান, ইনশাল্লাহ্ আগামী ৫ বছর আমি তাদের পাশে থাকবো। মেয়র সাঈদ খোকন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, অবিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। তিনি পুরান ঢাকার অন্যতম ব্যক্তিত্ব মাজেদ সর্দারের নাতি। মূলত বাবা হানিফের হাত ধরেই আশির দশকের শেষ দিকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় সাঈদ খোকনের। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সবশেষ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে ২,৪১,০০৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এর ৭ দিন পর ৬ মে মেয়র হিসেবে শপথ নেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019